এশিয়ান গেমস ফুটবলে গেল বাংলাদেশ অধিকাংশই নতুন ফুটবলার

  ক্রীড়া ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:১৬ |  আপডেট  : ২ মে ২০২৪, ২০:২৭

চীনে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান গেমসের পর্দা উঠবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর। তার আগেই মাঠে গড়াবে ফুটবলসহ একাধিক ডিসিপ্লিন। বাংলাদেশ থেকে ১৭ ডিসিপ্লিনে অংশগ্রহণ করবে। সবার গেমসের শহর হাংঝুতে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। এর আগেই বিওএ হতে একটি দল সেখানে চলে গেছে। কারণ কিছু অফিসিয়াল কাজ সম্পন্ন করতে হয় বলে একটা দলকে আগেভাবে চলে যেতে হয়। আর গতকাল রাতে ঢাকা ছেড়েছে ফুটবল দল।

একটা সময় সিনিয়র দল খেলত এশিয়ান গেমসে। ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় বুসান এশিয়ান গেমস থেকে নতুন নিয়ম হয়, শুধু অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল এশিয়ান গেমস খেলতে পারবে। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে অনূর্ধ্ব-২৩ দলে তিন জন সিনিয়র ফুটবলার খেলানোর নিয়ম করা হয়। সেটাই এখনো চলছে। বাংলাদেশ দলটি এবার সিনিয়র কোটা পূরণ করতে পারেনি। তিন জনের পরিবর্তে দুই জন নেওয়া হয়েছে। আর ১৫ জন আছেন তারা নতুন। তাদের এশিয়ান গেমস ফুটবল কিংবা অলিম্পিক ফুটবল খেলার অভিজ্ঞতা নেই। এবারই প্রথম তারা এশিয়ান গেমস ফুটবলের মতো মর্যাদার আসরে নামতে যাচ্ছে, দেখতে যাচ্ছে গেমসে আবহ কেমন। কতটুকু চাপ থাকে।

এশিয়ান গেমস ফুটবলের ইতিহাসে বাংলাদেশ ফুটবল দল গেমসের গত আসরে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছিল। কাতারকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে উত্তর কোরিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল। এবারও পারবে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে। সেই নিশ্চয়তা নেই। এশিয়ান গেমস দলের কোচিং স্টাফ মূল জাতীয় দলেরই। এখানেও স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়েছেন কোনো টার্গেট সেট করতে চান না। তার লক্ষ্য ম্যাচ বাই ম্যাচ।’

বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মিয়ানমার, ভারত এবং স্বাগতিক চীন। তুলনায় এই তিন দেশই বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি উপরে। যে কোনো বিচারে প্রতিপক্ষ তিন দেশ এগিয়ে। তাদের লড়াই করতে গেলে যেভাবে দলটা সাজানো প্রয়োজন ছিল সেটা হয়নি। বিশেষ করে এএফসি কাপে বসুন্ধরা কিংসের খেলা রয়েছে। তারাও অনেক ফুটবলার ছাড়েনি। বাফুফে ৫৬ জন ফুটবলারের নাম পাঠিয়ে ছিল এশিয়ান গেমস আয়োজকদের কাছে। কিন্তু সেই তালিকা হতে বাছাই করা পছন্দের ফুটবলার পাঠানো যায়নি। তালিকায় মোরসালিন, ইব্রাহিম, মতিন মিয়া, গোলরক্ষক জিকোর মতো প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন। কিংসের খেলা তারাও তাদের দলকে গুরুত্ব দেবে। জামাল ভুঁইয়ার নামও রাখা ছিল তালিকায়। কিন্তু জামাল আর্জেন্টিনায় খেলছে। ফলে সিনিয়র কোটায় সুমন রেজা আর মেহেদী মুরাদকে নেওয়া হলেও একটি কোটা ফাঁকা রয়ে গেল।

৬টা গ্রুপে খেলবে এশিয়ার দল। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ মিলে ১২ দলের সঙ্গে আরো চারটা সেরা তৃতীয় স্থান পাওয়া দলও দ্বিতীয় রাউন্ডে তথা শেষ ষোলতে যাবে। বাংলাদেশ যদি ভালো খেলার ধারাবাহিকতা রাখতে পারে তাহলে সেই সুযোগ আসতেও পারে। কঠিন হলে অসম্ভব না। সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশের ঘরে অভিজ্ঞ ফুটবলারের সংখ্যা কম। প্রথম ম্যাচ ১৯ সেপ্টেম্বর, মিয়ানমারের বিপক্ষে। এই ম্যাচটা লড়াই করার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশের অধিনায়ক রহমত মিয়া। যার এশিয়ান গেমস খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ২১ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াই। ভারত আটঘাট বেধে আসছে। সুনীল ছেত্রীও আসছে এই দলে। শেষ ম্যাচ খেলবে স্বাগতিক চীনের বিপক্ষে, ২৪ অক্টোবর। ১৯৭৮ সাল থেকে এশিয়ান গেমস ফুটবলে ২৭ ম্যাচ খেলছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জয় আছে নেপাল, মালয়েশিয়া, আফগানিস্তান এবং কাতারের বিপক্ষে। চীন এবং ভারতের বিপক্ষে প্রতিবারই হেরেছে বাংলাদেশ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত