এখন সময় কাঞ্চন জঙ্ঘার অপরুপ সৌন্দর্য্য দেখার

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু,পঞ্চগড় প্রতিনিধি  

প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৪৫ |  আপডেট  : ৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৪৯

বাংলা মাসের কার্তিকে হয়তো শীত আসবে এমনটা আশা করছে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত পঞ্চগড়ের মানুষ। নভেম্বরে হয়তো পর্বত শূঙ্গার কাঞ্চনজঙ্ঘার রুপের দুরন্তপনা ছড়িয়ে পড়বে জেলা জুড়ে। কখনো একদিন কখনো দুদিন একনাগাড়ে ঝলঝল হয়ে উঠবে সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা। পর্যটকদের আনাগোনায় ভরে উঠবে তেতুঁলিয়ার নানা অঞ্চল। 

বাংলাদেশের উত্তরজনপদের শেষ জেলা ভারতের দার্জিলিং ঘেঁষা পঞ্চগড়। প্রতিবছরের মতো এবারেও কাঞ্চন জঙ্ঘার অপরুপ কণ্যার মোহিত মায়ায় দাঁড়াবে পথচারী ‘ দাঁড়াবে তরুণ- তরুণী। যুগযুগ ধরে এই পঞ্চগড় জেলার তেতুঁলিয়া মহানন্দার পার থেকেই বছরের এই চেনা শীতে কুয়াশা ভেদ করে ঝল ঝল করে উঠবে পবর্ত চুড়া কাঞ্চজঙ্ঘা। বাঙ্গালীপনা মানুষ উদ্দীপ্ত মনে ছুটে আসবে তেতুঁলিয়ায়। কোলাহল বাড়বে তেতুঁলিয়ার মুক্ত মাঠ প্রান্তর। কেউ দাঁড়াবে স্থানীয় ডাকবাংলোয় কেউ বা ভারত ঘেঁষা মহানন্দার তেপান্তর বালুচড় মাঠ-ময়দানে।প্রকৃতির পরশে শীতকালেই নব উদ্দ্যমে অপরুপ কাঞ্চন জঙ্ঘা উত্তরে মেঘমালায় অবতরণ ঘটে। শুধু পর্যটকরাই নয় স্থানীয়রা মন ভরে দেখে। পঞ্চগড় শহরের করতোয়া সেতু থেকেই নয়নভিরাম কাঞ্চন জঙ্ঘা দেখেন অনেকেই। ছবিও তোলেন কেউ কেউ। 

পঞ্চগড়ে শীতকালে মেঘের মেলার সাথে মিশে চলে চঞ্চলা হাওয়া। কনকনে শীতে বিরতি দিয়ে মেঘের আড়ালে সেই পর্বতকণ্যা ‘‘কাঞ্চনজঙ্ঘার’’ মোহিত রুপ চমকে দেয় মানব সভ্যতাকে। ফিরে ফিরে তাকিয়ে থাকে পথচারী আর পর্যটকরা। রাজধানী সহ দেশের নানা জায়গা থেকে ছুটে আসে পর্যটকগন। দুরের অনেকেই আগে-ভাগে অবস্থান নেন আতœীয় , আবাসিক হোটেল রেঁেস্তারায়। আসে অনেকে সপরিবারে । পঞ্চগড় রেলপথ ও সড়ক পথ দিয়ে আসে পর্যটকরা। বিনোদন প্রিয় মানুষগুলো পাহাড় কন্যার মজা নিতেই হাসিখুশি মনে ঘুরেন এলাকায়। জমে ওঠে স্থানীয় দোকানপাট ও রেঁেস্তারায় বেচাকেনা। ধারনা করা হচ্ছে পারিপার্শ্বিক প্রেক্ষাপট যাই হোক তেতুঁলিয়া আবার হয়ে উঠবে চঞ্চলতা আর চঞ্চলাময়। গরম কে কাটিয়ে শীতকে অভিবাদন জানিয়ে ভীর জমবে তেতুঁলিয়ায়।মা-বাবার সাথে ছুটোছুটি নিয়ে ফিরবে শিশু-কিশোরকিশোরীরা। তবে নিরাশা তখনি মনকে ভেঙ্গে দেয় যখন শীতে হঠাৎ হারিয়ে যায় এই অপরুপ কাঞ্চনজঙ্ঘা। পর পর বিরতিহীন ভাবে পঞ্চগড়ের উত্তর কোণে দেখা দেয় কাঞ্চন জঙ্ঘা। সদর উপজেলা চেকরমারি এলাকার মজিদ জানান আমাদের এখান থেকেই দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। তবে যারা দুর থেকে আসে তারা অপেক্ষা না করে তেতুঁলিয়া গিয়ে অবস্থান নেন। তেতুঁলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ সিদ্দিকী জানান, কয়েকদিন একটু দেখা গেলে পরিষ্কার না। তবে তিনি জানান অক্টোবরের শেষে অথবা নভেম্বরে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়।এছাড়া ট্যুারিষ্ট পঞ্চগড় জোন এর এ এস আই রহুল আমিন বলেন ‘ দুদিন দেখা গেছে পবর্ত শৃঙ্গার কাঞ্চন জঙ্ঘা। তবে এমাসেই পুরোপুরি দেখা যেতে পারে। পর্যটকরা স্পষ্ট দেখা গেলেই ভীর করে তেতুঁলিয়ায়। আমরা ট্যুারিষ্ট পুলিশ পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সব সময় প্রস্তুত।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত