একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে - হাজী সেলিমের জ্যেষ্ঠ পুত্র মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১৭ |  আপডেট  : ১৮ মে ২০২৪, ১৬:১৪

হাজী মো. সেলিমের জ্যেষ্ঠ পুত্র মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম প্রথমবারের মত পদ নিয়ে নির্বাচনে নেমেছেন। ইউনির্ভাসিটি অব লন্ডন থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। এখন রাজনীতিতে সক্রিয়। বাবার আসন ঢাকা-৭ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি জানান : 'একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি এ আসনের সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। সেই সুবাদে মহানগর, থানা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার আছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ভালোভাবে জানেন আমার কার্যক্রম কেমন'।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজে প্রার্থী হয়ে সোলায়মান সেলিম অসাধারণ সাড়া পাচ্ছেন। তরুণদের কাছে তিনি আশা রাখেন স্বাধীনতার স্বপক্ষে ভোট দেয়ার। বয়স্কদের দোয়া পেয়ে তিনি নিজের কাজে আরও উৎসাহিত হচ্ছেন । তিনি বলেন: 'আমার বাবা দীর্ঘদিনের সংসদ সদস্য। উনি শান্তির পক্ষে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। আমার বাবা ১৯৯৬ সালে নৌকাকে বিজয়ী করেছেন এই আসন থেকে। পরবর্তীসময়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে দলমত নির্বিশেষে সবার ভোটে জয়লাভ করেছেন। সেক্ষেত্রে ওনার একটি নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে এবং আওয়ামী লীগেরও একটি ভোট ব্যাংক আছে। আমিও দলমত নির্বিশেষে সবার কাছ থেকে সাড়া পাচ্ছি।'

তিনি আরও বলেন: 'এ আসনে অনেক অভিজ্ঞ, পুরোনো এবং দুর্দিনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মতো নেতা রয়েছেন। তারা সব সময় তাদের স্নেহ-ভালোবাসায় আমাকে রেখেছেন। আওয়ামী লীগের একটি দুর্গ ঢাকা-৭ আসন। এ আসন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালে নির্বাচন করেছিলেন। বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের এ আসনটিতে ৪০০ বছরের ব্যবসা-বাণিজ্যের ইতিহাস রয়েছে। এখানে মোগলটুলিতে আওয়ামী লীগের প্রথম কার্যালয় ছিল। এটি একটি পাইকারি ব্যবসার এলাকা। এখানকার মানুষ চায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীমুক্ত এলাকা থাকবে । শান্তির সাথে যেন সবাই থাকতে পারে সেই জন্য আমি আমার বাবার সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলন জারি রাখবো'।

তিনি সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলন নিয়ে বলেন: 'আমাদের আন্দোলনের শুরুটাই ছিল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে। আমি সবাইকে বলি যে, পুরান ঢাকাকে নিয়ে একটি নতুন স্বপ্ন দেখবো। যে স্বপ্নটা সব পেশাজীবী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে নাগরিক সুবিধা বাড়াবে। নির্বাচিত হলে এলাকার শিক্ষা, সামাজিক, অবকাঠামো, স্বাস্থ্য ও ব্যবসায়িক সুষ্ঠু পরিবেশের উন্নয়ন করবো। এলাকায় সরকারিভাবে বিশেষায়িত কারিগরি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজ স্থাপন করবো। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটার পর্যন্ত শব্দ দূষণমুক্ত এলাকা ঘোষণা করবো'।

 

সা/ই

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত