উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া নওমুসলিম নোমানী একদিনের রিমান্ডে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২১, ১৭:২৬ |  আপডেট  : ১৫ মে ২০২৪, ১২:৫২

ইসলামি মাহফিলে উসকানিমূলক বক্তব্য রাখার দায়ে আটক নওমুসলিম ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ কে এম রওশন জাহান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ধর্মীয় ইস্যুতে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানীকে আটকের পর রাতে রাকিবুল ইসলাম শাহীন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। এই মামলায় তাকে সোমবার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতের কাছে তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেছেন বলেও জানান ওসি। 

এর আগে রোববার বিকেল ৫টার দিকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ময়মনসিংহ নগরীর সানকিপাড়ার এস.এ সরকার রোডের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা গেছে, ওয়াসেক বিল্লাহ নোমানী ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ২০১২ সালে হিন্দু ধর্ম থেকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম হন। পরে ময়মনসিংহ নগরীর সানকিপাড়ার ফজলুল হক মারকাজুল উলুম মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন ও বিভিন্ন ইসলামি সম্মেলনে বক্তব্য দিতেন। নোমানীর বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলায়।

সম্প্রতি একটি মাহফিলে দেওয়া মাওলানা নোমানীর বক্তব্য ভাইরাল হয়। সেখানে মুসল্লিদের সহিংসতায় উসকানি দিতে দেখা যায় নোমানীকে।

৩ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে নোমানী বলেন, আল্লাহ যদি আমাদের তৌফিক দেয়, আর যদি ইনশাআল্লাহ খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে পারি; যদি আল্লাহ তৌফিক দেয় আর যদি ইনশাল্লাহ খেলাফত কায়েম করতে পারি, আল্লাহর কসম, আল্লাহর কসম, সংবাদ দেখার টাইম পাবি না। সংবাদ দেখার টাইম পাবি না। একটা একটা ধরব আর জবাই করব ইনশাআল্লাহ।’

এ সময় মুসল্লিদের উসকানি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ও মুসলমান, এখন থেকে আমরাও তইয়ার (তৈরি)। আমাদের ঘাড় ভাঙবি, আমরাও ঘাড় ভাঙব। কারা কারা তইয়ার?’

নোমানী বলেন, ‘যতদিন বাঁচব, বাঘের মতো বাঁচব। আর যদি মরতে হয় ইনশাআল্লাহ দুই চার দশটাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে এরপর মরব। সবাই রাজি আছি তো ইনশাআল্লাহ।’

উত্তেজিত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, ‘এখন থেকে আর রক্ত দেব না, অনেক রক্ত দিয়েছি আমরা। এখন থেকে সাফ সাফ কথা। এখন থেকে আর রক্ত দেব না। কারা কারা তইয়ার? রক্ত নেব, রক্ত নেব, রক্ত নেব ইনশাআল্লাহ।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত