ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান বেলজিয়ামের উপ-প্রধানমন্ত্রীর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৫৩ |  আপডেট  : ২১ মে ২০২৪, ১৩:৪৯

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা নির্বিচারে বোমা ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো নৃশংস এই হামলায় ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই শিশু, নারী ও বৃদ্ধ। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে।

এই পরিস্থিতিতে গাজায় আগ্রাসন চালানোর কারণে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন বেলজিয়ামের উপ-প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে গাজার হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরগুলোতে বোমাবর্ষণের ঘটনার তদন্ত করারও দাবি করেছেন তিনি।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় আগ্রাসনের দায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে এবং গাজায় হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরে বোমা হামলার তদন্ত করতে বুধবার বেলজিয়াম সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী পেট্রা ডি সাটার।
নিউজব্লাড সংবাদপত্রকে বেলজিয়ামের এই উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় এসেছে। নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো অমানবিক। এটা স্পষ্ট, গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক যে দাবি উঠেছে সেটির প্রতি কোনো গুরুত্ব দেয় না ইসরায়েল।”

ডি সাটার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচিত অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে সকল সহায়তা চুক্তি ও কার্যক্রম স্থগিত করা।

তিনি আরো বলেন, অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে পণ্যের আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা উচিত এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী সহিংস বসতি স্থাপনকারী, রাজনীতিবিদ, সৈন্যদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) প্রবেশ নিষিদ্ধ করা উচিত।

একই সময়ে তিনি বলেন, বেলজিয়ামের উচিত হামাসকে অর্থের প্রবাহ কমানোর পাশাপাশি বোমা হামলার তদন্তের জন্য হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের জন্য তহবিল বরাদ্দ বৃদ্ধি করা।

ডি সাটার বলেন, “এটি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসের জন্য অর্থ ব্যয় হয় এবং হামাসকে অর্থ সরবরাহকারী সংস্থা ও লোকেদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।”


 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত