ইজতেমায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনারোধে সতর্ক র‍্যাব

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:৫৭ |  আপডেট  : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:০৮

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‍্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, দুই ধাপে আয়োজিত বিশ্ব ইজতেমায় যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনারোধ করতে কঠোর সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় তিনি গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় র‌্যাবের কন্টোল রুমে ইজতেমায় নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা নিয়ে র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নাই। আমরা এব্যাপারে সজাগ রয়েছি। আমরা আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার পেট্টোলিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছি। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে বিশ্ব ইজতেমার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে র‌্যাব ফোর্সেস অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ইজতেমা এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিয়মিত টহল জোরদার ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইজতেমায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর র‍্যাব -১সহ অন্যান্য পাঁচটি ব্যাটালিয়ান দায়িত্বরত থাকবে। ইজতেমা এলাকায় নিরাপত্তা সার্বক্ষণিক ভাবে মনিটরিং করতে কন্টোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। যেকোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য র‌্যাবের স্পেশাল টিম বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং পর্যাপ্ত স্টাইকিং রিজার্ভ ফোর্স সার্বক্ষণিক ভাবে প্রস্তত রাখা হয়েছে। এছাড়াও র‍্যাবের পেট্রোল হেলিকপ্টার থাকবে।

বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমগ্র ইজতেমা ময়দান ঘিরে র‌্যাবের অবজারভেশন পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে যাতে সার্বক্ষণিক ইজতেমা এলাকা পর্যবেক্ষণ করা যায়। ইজতেমা এলাকায় আশপাশে উচ্ছঙ্খৃলতা, মাদকাসক্ততা, ছিনতাই, পকেটারমার ও মলম পার্টির দৌরাত্ম কমাতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া করা হবে।

বিমানবন্দরে বিদেশিদের হয়রানি নিয়ে তিনি বলেন, গত বছর বিমানবন্দরে টানা হেঁচড়া হয়েছে। এটা অন্তত দুঃখজনক ও লজ্জার বিষয়। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনারও বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এবার এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

বিদেশী মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি বলেন, বিদেশি মুসল্লিদের খিত্তা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ কল্পে সতর্ক দৃষ্টি ও নজরদারি রাখা হয়েছে। ইজতেমামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশির জন্য চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ড, টঙ্গী-কালীগঞ্জ রোড, উত্তরা নর্থ টাওয়ারের সামনে ও আশুলিয়া কামারপাড়া এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এছাড়াও ইজতেমা এলাকায় র‍্যাবের চিকিৎসা কেন্দ্র ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক ভাবে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। র‌্যাবের পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিকেল টিম, এ্যাম্বুলেন্সসহ ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকবে। বিশ্ব ইজতেমায় আখেরী মোনাজাতের দিনের মুসল্লিরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য র‌্যাবের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা রাখা হয়েছে।

অনলাইন ভিত্তিক গুজক নিয়ে র‍্যাব মহাপরিচালক জানান, বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্র, ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার, গুজব রোধে র‌্যাবের সাইবার উইং টিম অনলাইনে নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। আসন্ন ইজতেমাকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে কোনো গোষ্ঠীর অপচেষ্টা, অপপ্রচার কঠোর হাতে দমন করা হবে। 

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা সফল শান্তি পূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করতে আগত মুসল্লিসহ দেশের সকলের আন্তরিক সহযোগিতা একান্ত ভাবে কামনা করেন তিনি।

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের আগমন ঘটে। এ বছরও প্রায় দুই ধাপে তিন দিন করে ইজতেমা মোট ছয়দিন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপ শুরু হচ্ছে ২ ফেব্রয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত