ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাকামী দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পুতিনের
প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:০৪ | আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২০:২১
পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাকামী দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে অঞ্চল দুটির স্বাধীনতার স্বীকৃতি সংক্রান্ত ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
রুশ-সমর্থিত ইউক্রেনীয় বিদ্রোহীরা ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এলাকায় যুদ্ধ করছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি থাকা সত্ত্বেও সেখানে নিয়মিত সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা সমাবেশের কারণে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে অঞ্চলটি। সীমান্তে চলমান যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতিতে রাশিয়া ইউক্রেনীয় বিদ্রোহীদের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়া পরিস্থিতি আরও বিরূপ হয়ে উঠবে।
অঞ্চল দুটির স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেবার আগে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ইউক্রেন সংকট প্রসঙ্গে কথা বলেন পুতিন। তিনি বলেন, ইউক্রেন লেনিনের সৃষ্টি।
সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতার নিন্দা করে তিনি আরও বলেন, ‘লেনিন ইউক্রেনের প্রণেতা ও স্থপতি। তিনি রাশিয়াকে অসুবিধাজনক অবস্থায় ফেলেছিলেন। ’
ইউক্রেনের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে পুতিন বলেন, ‘তাহলে আপনারা কমিউনিজমের চিহ্ন রাখতে চান না? বেশ, আমাদের অসুবিধা নাই। তবে মাঝপথে থামবেন না। আমরা দেখাবো কমিউনিজমের চিহ্ন দূর করা কাকে বলে। ’
এর আগে পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাকামী উভয় অঞ্চলের নেতারা রাশিয়াকে তাদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। পশ্চিমা শক্তিগুলোর আশঙ্কা, তাদের স্বাধীনতার ঘোষণার মতো পদক্ষেপকে রাশিয়া প্রতিবেশী দেশটিকে আক্রমণের অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করতে পারে।
রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে দেড় লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলো একে ইউক্রেনে বড় ধরনের আক্রমণের প্রস্তুতি হিসাবেই দেখছে। তবে রাশিয়া এ ধরনের পরিকল্পনার কথা বরাবর অস্বীকার করে আসছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত