আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিলেন রাষ্ট্রপতি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৭:১১ |  আপডেট  : ১৯ মে ২০২৪, ০৪:৫৯

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারের [জেসিসি] প্লেনারি হলে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস [আসিয়ান] এর ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ‘আসিয়ান প্রেক্ষিত: প্রবৃদ্ধির কেন্দ্রবিন্দু’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার [৫ সেপ্টেম্বর] শুরু হলো এই সম্মেলন। এটি আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার স্ত্রী ডা. রেবেকা সুলতানাকে নিয়ে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে সম্মেলনস্থলে পৌঁছান। সেখানে আসিয়ানের সভাপতি ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনার পর তাদের স্বাগত জানান। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট তার স্ত্রী ইরিয়ানা জোকো উইদোদোকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রীর সঙ্গে একটি ফটো সেশনে অংশ নেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও উপস্থিত রয়েছেন।

আসিয়ান দেশগুলোর ১০টি সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান এবং অংশীদার দেশগুলোর নেতারা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ডা. রেবেকা সুলতানাকে স্বাগত জানানোর পর ছবি তোলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ও তার স্ত্রী ইরিয়ানা জোকো উইদোদো।
আসিয়ান মহাসচিব বলেন, আয়োজক দেশ ইন্দোনেশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্র্রা তহবিল [আইএমএফ] এবং বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের মতো ২৭ জন বিশ্ব নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে বহিরাগত অংশীদারদের সঙ্গে সংস্থার সহযোগিতার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণ, দক্ষিণ চীন সাগর সংক্রান্ত আচরণবিধি, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত অঞ্চল [এসইএএনডব্লিওএফজেড], আসিয়ান মেরিটাইম আউটলুক, আসিয়ান আউটলুক ইন ইন্দো প্যাসিফিক (এওআইপি) মতো বেশ কয়েকটি গুররুত্বপূর্ণ থিম এবং মিয়ানমার সম্পর্কিত সমস্যার ওপর আলোকপাত করা হবে।

আসিয়ান সচিবালয় থেকে বলা হয়েছে, এই শীর্ষ সম্মেলনে আসিয়ান অবকাঠামো শক্তিশালীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, সুনীল অর্থনীতি, সবুজ অর্থনীতি, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং পেমেন্ট ইকোসিস্টেম সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ১৮তম ‘ইস্ট এশিয়া সামিট [ইএএস]’ এ যোগ দেবেন, যেখানে তিনি এর সমাপনী অধিবেশনে বক্তৃতা দেবেন।

আসিয়ানের ১০টি দেশ ছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রুশ ফেডারেশন, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারত পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে।

কর্মসূচি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপ্রধান ৭ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো, ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের [আইওআরএ] মহাসচিব ড. সালমান আল ফারিসি এবং ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিনের সঙ্গে পৃথকভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনটি একটি দ্বিবার্ষিক সভা। এটি একটি বিশিষ্ট আঞ্চলিক [এশিয়া] এবং আন্তর্জাতিক [বিশ্বব্যাপী] সম্মেলন হিসেবে কাজ করে। বিশ্বের নেতারা বিভিন্ন সমস্যা এবং বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার জন্য এই শীর্ষ সম্মেলন ও বৈঠকে যোগদান করেন। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত