আদমদীঘিতে ৯ হাজার ৮শ ৬৬ জন কার্ডধারী ভোক্তা টিসিবি পন্য পাবে

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পন্য সাধারণ ভোক্তাদের মাঝে কার্ডের মাধ্যমে প্রথম ধাপে বিক্রি শুরু হচ্ছে আগামী ২০ শে মার্চ থেকে। এ উপজেলায় ২০ শে মার্চ থেকে ২২ শে মার্চ ৩ দিন ব্যাপী প্রথম ধাপে কার্ডধারী ভোক্তাদের মাঝে টিসিবি পন্য বিক্রয় করা হবে। টিসিবি পন্য বিক্রির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। টিসিবির পন্য বিক্রির প্রতারণা ঠেকাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ দফায় দফায় বৈঠক করে সিটি মেয়র, পৌর মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে টিসিবি পন্য বিক্রির কার্ডের তালিকা প্রস্তুত করেছে। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষ কম মূল্যে পাবে টিসিবি পণ্য তেল,চিনি,ডাল। আর এসব পণ্য কার্ডধারী ভোক্তাদের মাঝে বিক্রি করবে ডিলাররা। কার্ডধারী ভোক্তারা ছাড়া কেউ ডিলারদের কাছ থেকে পণ্য কিনতে পারবে না। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়,বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভার মোট ৯ হাজার ৮শত ৬৬জন কার্ডধারী ভোক্তাদের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হবে। এরমধ্যে আদমদীঘি সদর ইউনিয়নে ১২২৪ জন,নশরতপুর ইউনিয়নে ১১০৬ জন,ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নে ১১১২জন, কুন্দগ্রাম ইউনিয়নে ৯৬২জন,চাঁপাপুর ইউনিয়নে ৯৮৪ জন,সান্তাহার ইউনিয়নে ৯৩৪ জন এবং সান্তাহার পৌর সভায় ৩৫৪৪ জন। আগামী ২০মার্চ আদমদীঘি সদর ইউপি ভবন ও রেলষ্টেশন বাজার,নশরতপুর ইউপি ভবন ও মুরইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ,ছাতিয়ানগ্রাম ইউপি ভবন ও শালগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ,কুন্দগ্রাম ইউপি ভবন ও শিববাটি বাজারে টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হবে এবং আগামী ২১ মার্চ চাঁপাপুর ইউপি ভবন ও বিহিগ্রাম স্কুল মাঠ,সান্তাহার ইউপির ছাতনী-ঢেকড়া স্কুল মাঠ,সান্দিড়া শহিদ সিরাজ খান মেমোরিয়াল স্কুল মাঠে টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হবে। এছাড়াও আগামী ২২মার্চ সান্তাহার পৌর সভার পৌওতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ,মহিলা কলেজ মাঠ,হার্ভে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ,সরকারী কলেজ ঈদগাহ মাঠ এবয় মালসন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হবে। 

আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবনী রায় জানান,ইতিমধ্যে পৌর মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য বিক্রির লক্ষে নিন্ম আয়ের পরিবারের(টিসিবি)পণ্য ক্রয়ের কার্ডের তালিকা সম্পন্ন করা হয়েছে। কার্ডধারী ভোক্তারা নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারবে।