ভ্রাম্যমান আদালতে ডিলারের জরিমানা

আদমদীঘিতে ৩৭৫ বস্তা সার জব্দ, প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি

  আদমদীঘি(বগুড়া)প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫:৫০ |  আপডেট  : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৩

বগুড়ার আদমদীঘিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে ট্রাকে করে সার পাচারের সময় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে ৩৭৫ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করেছে। এসময় মের্সাস খন্দকার ট্রের্ডাসের মালিক (সার ডিলার) রওশন আলীর ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালতের এক্্িরকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার। গত বুধবার (২১ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টায় দিকে আদমদীঘি উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যন্ডের পূর্ব পাশে মের্সাস খন্দকার ট্রের্ডাসে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযানটি পরিচালনা করেন। জব্দকৃত ওই সার গুলো গতকাল বৃহস্প্রতিবার দুপুরে উপজেলা সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুর তালুকদারের উপস্থিতে প্রকাশ নিলাম ডাকে বিক্রি করা হয়। 

ভ্রাম্যামান আদালত সূত্রে জানাযায়, আদমদীঘি উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ডের পুর্ব পাশে মের্সাস রওশন ট্রের্ডাস থেকে গত বুধবার(২১ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে একটি ট্রাকে করে ৩৭৫ বস্তা ডিএপি সার বিক্রি উদ্দেশ্যে পাচারের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়। এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের টিম ৩৭৫ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করেন এবং সার ডিলার রওশন আলীর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালতের এক্্িরকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার। পরে জব্দকৃত সার গুলো উপজেলা কৃষি অফিসে আনা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জব্দকৃত ওই সার গুলো গতকাল বৃহস্প্রতিবার দুপুরে উপজেলা সকল ডিলারদের অংশ গ্রহনে জব্দকৃত ৩৭৫ বস্তা ডিএপি সার প্রকাশ্য নিলাম ডাকে প্রতি বস্তা ৭শ’টাকা দরে সর্বোচ্চ ডাকাদাতা সজিব সাহার নিকট বিক্রি করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি টুকটুক তালুকদার। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু,উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী,কৃষি উপ-সহকারী ফরহাদ হোসেন,উপজেলা কেন্দ্রীয় কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু,সদর ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান। উপজেলা সার মনিটরিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার বলেন,ভ্রাম্যমান আদালতে জব্দকৃত ৩৭৫ বস্তা ডিএপি সার প্রকাশ্য নিলাম ডাকে প্রতি বস্তা ৭শ’টাকা দরে সর্বোচ্চ ডাককারীর নিকট বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিবস্তা ৭শ’টাকা দরে ৩৭৫ বস্তা ডিএপি সার বিক্রির ২ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা সরকারী কোষাগারে জমা করা হয়। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত