আদমদীঘিতে সালিশে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৩, ১১:২৯ | আপডেট : ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৭
বগুড়ার আদমদীঘিতে সালিশে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে, খুচিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমিরুল ইসলামকে হত্যা ঘটনার ২০ দিন পর মামলার দুই নম্বর আসামী তহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। জমি সংক্রান্ত বিরোধ সমাধান করে দেওয়ার নামে নেয়া চাঁদার দুই লাখ টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২২ মার্চ রাতে শাহিন-তহিদুলের সালিশে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের মসজিদ কমিটি, গভীর নলকুপ পরিচালনা ও সামাজিকসহ নানা বিষয়ে নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে দু’টি গ্রুপ রয়েছে। হত্যাকান্ড ঘটনার দিন পর্যন্ত নেতৃত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন-তহিদুল গ্রুপ। তারা পলাতক থাকার সুযোগে ফের গ্রাম শাসনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেদ্দা বাহিনীর প্রধান আব্দুল কাদের সেদ্দা। হত্যাকান্ডের শিকার আমিনুর রহমান নিজ গ্রুপের (শাহিন-তহিদুল) হলেও সে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হওয়ার কারণে তার হত্যা নিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনী ছিল প্রচন্ড চাপে। ঘটনার পরই এজাহার নামীয় তিন আসামী গ্রেপ্তার করলেও মামলার প্রধান দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় চাপ মুক্ত হতে পারছিল না পুলিশসহ আইন শৃংখলা বাহিনী। এমন অবস্থায় র্যাব-১১/১২ যৌথ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার মাধবদী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার আসামী তহিদুলকে আদমদীঘি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। খবর পেয়ে থানায় ছুটে আসেন নিহত আমিনুরের স্ত্রী রুকসানা বেগম। ক্ষুব্ধ রুকসানা চড়াও হয় আসামী তহিদুলের উপর। কথা বলা বলির এক পর্যায়ে রুকসানা থানার ভিতরেই তহিদুলকে চড় থাপ্পড় মারতে থাকে। তাৎক্ষনিক পুলিশী হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন হয়।
এ ব্যাপারে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা জানান, আদমদীঘি উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামে সালিশ কৈঠতে ডেতে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামী তহিদুলকে গ্রেফতার করে গতকাল মঙ্গলবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত