২৪০ বস্তা নিতে হাজারের অধিক কৃষকের ভীড়
আদমদীঘিতে সার নিতে এসে অজ্ঞান দুই কৃষক
প্রকাশ: ২৯ আগস্ট ২০২২, ১৯:৫৬ | আপডেট : ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:১৮
সোমবার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুরে ইউরিয়া সারের বিক্রয় কেন্দ্রে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক কৃষক ভাদ্রের তীব্র গরমে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় মিলেছে। এরা হলেন চাঁপাপুর ইউনিয়নের কা নপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ও চাঁপাপুর বাজারের বুলু রবি দাস। এদিন ওই ইউনিয়নের বিসিআইসির ডিলার মেসার্স ইষামুনি চালকল মালিক সুলতান আলী কবিরাজ চাঁপাপুর বাজারে তার বিক্রয় কেন্দ্রে মজুদ থাকা ২৪০ বস্তা ইউরিয়া সার বিক্রি করে। ওই পরিমান সারের বিপরিতে ভোর থেকে হাজারের অধিক পরিমান কৃষক ভীড় জমায়। পড়ে যায় দীর্ঘ লাইন। লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে কৃষকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকদের রোষানলে পড়ে চাঁপাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য হাজী মোতাহার হোসেন বিশ্বাস।
জানা গেছে, সোমবার সকাল নয়টার দিকে ডিলার সার বিক্রি শুরু করে। বিক্রি শুরুর প্রথম দিকে দুই কৃষকের মধ্যে এক বস্তা সার বিক্রি করা হয়। এভাবে ১৪০ বস্তা সার পায় ২৮০ কৃষক। কিন্তু এতেও সংকুলান হওয়া সম্ভব নয় বুঝতে পেরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সার বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েক শত কৃষক উত্তেজিত হয়ে উঠে। এঅবস্থায় শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজেই সার প্রত্যাশী কৃষকরা ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে। বৃষ্টি ছাড়ার পর বেলা সাড়ে ১২টার দিক থেকে ফের বিক্রি শুরু করা হয়। এবার চার কৃষক মিলে এক বস্তা সার বিক্রি করা হয়। এর পরও সংকুলান না হওয়ায় খালি হাতে ফিরে যায় বহু কৃষক।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী সারের সংকট নাই দাবী করে বলেন, চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন ফের চার শ’ ৯৫ মেট্টিক সার বরাদ্দ পেয়েছি। আগামী ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর বিক্রি শুরু হবে। তখন সার নেয়ার কৃষক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত