আদমদীঘিতে নামজারি সংশোধনের নামে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ তহশীলদারের বিরুদ্ধে

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:০০ |  আপডেট  : ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৩:৩১

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহশীলদার মশিউর রহমান ও অফিস সহায়ক জামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে নামজারি সংশোধনের নামে উৎকোচ গ্রহনের অভিযোগ উঠেছে। মজিবর রহমানে নামের এক ভুক্তভোগী গত ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার দমদমা গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দীনের ছেলে ফজলে আমিন ফটিক ও তার মৃত ভাইয়ের স্ত্রী আফরোজা বেওয়া তাদের নিজস্ব ও দলিলসুত্রে মালিক হয়ে, ২০১৮/১৯ অর্থ বছরের ১২৩৯ ও ১০৮৭ নং নামজারী (খারিজ) করে বাংলা ১৪২৬ সন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করিয়া দখলভোগ করিয়া আসিতেছিল। তাদের এক ওয়ারীশ উক্ত দুটি খারিজ কেস বাতিলের জন্য ২০২০ সালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবর মিস কেস দাখিল করেন। তৎকালিন সময়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মিসকেস পর্যালোচনা করে ১২৩৯ ও ১০৮৭ নং খারিজ কেস বাতিল করে মুল হোল্ডিংয়ে জমি ফেরত দেয়ার আদেশ প্রদান করেন। পূর্বের খারিজের মালিক ফজলে আমিন ও তার ভাই বউ আফরোজা বেওয়া ও চাচাতো ভাই মজিবর রহমান সহ এ সর্ম্পকে জানার জন্য সান্তাহার ইউনিয়ন ভুমি অফিসে গেলে বাতিল হওয়া ২টি খারিজ কেস সংশোধন করে দিবে বলে ভুক্তভোগীদের নিকট ৫০ হাজার টাকা চুক্তি করেন সান্তাহার ইউনিয়নের তহশীলদার মশিউর রহমান ও অফিস সহায়ক জামাল উদ্দীন। ভুক্তভোগীরা চুক্তির ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ২০২০ সালে ১০ হাজার ও ২০২১ সালে ১৬ হাজার টাকা তহশীলদারের নিকট প্রদান করেন। অর্থ গ্রহনের পর থেকে নামজারী (খারিজ) সংশোধন না করে কালক্ষেপন করতে থাকে। এদিকে দীর্ঘ দিন ধরে নামজারী (খারিজ) সংশোধন না হলে পাওনা টাকা ফেরত চাইলে তহশীলদার টাকা ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মজিবর রহমান নিরুপায় হয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিস সহায়ক হাসান আলী অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ডাক ফাইলের মাধ্যমে স্যারের নিকট দেওয়া আছে। এব্যাপারে সান্তাহার ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহশীলদার মশিউর রহমানের সাথে মুঠোফানে যোগাযোগ করলে তিনি কোন সঠিক উত্তর না দিয়ে বলেন, অভিযোগ করুক তাতে আমার কি, এব্যাপারে তিনি অফিস সহায়ক জামাল উদ্দীন সাথে কথা বলতে বলেন। অফিস সহায়ক জামাল উদ্দীনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, নামজারী বাতিল হয়েছে, তবে সংশোধনের জন্য কোন রকম টাকা নেওয়া হয়নি। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি (ভারপ্রাপ্ত) উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবনী রায় বলেন, অভিযোগপত্র হাতে পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত