প্রশাসনের নেই কোন পদক্ষেপ
আদমদীঘিতে কুরবানীর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়

প্রকাশ: ১ জুন ২০২৫, ১৫:২৮ | আপডেট : ৩ জুন ২০২৫, ০২:৫১

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সকল কুরবানীর পশুর হাট নানা অনিয়মের মধ্যে দিয়ে চলছে। অতিরিক্ত টোল আদায়, মূল্য তালিকা না টাঙানো, নিয়ম না মেনে রেল স্টেশনের উপরে হাট বসানো সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নশরতপুরে পশুর হাটে এমন চিত্র দেখা যায়। তবে এসব ঘটনার পরেও উপজেলা প্রশাসনের নেই কোন পদক্ষেপ। এদিকে চলন্ত রেললাইনে হাট বসানোর ফলে ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
সরজমিন শুক্রবার হাটে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার নশরতপুর রেল স্টেশনে প্রায় অর্ধ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রতি বছরে কুরবানী ঈদের জন্য শুক্রবার ও সোমবার পশুর হাট বাসনো হয়। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে এই হাট বসানোর অনুমতি পায়। অথচ নশরতপুর হাটের অনুমতি থাকলেও পশুর হাটে বসানোর কোন অনুমতি নেই বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। স্থানীয় নেতাকর্মী ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে দিয়ে হাটটি পরিচালনা করা হচ্ছে। হাটে নেই মূল্য তালিকা টাঙানো, অতিরিক্ত খাজনা আদায়, পশু প্রতি নেওয়া হচ্ছে ২০০-৩০০ টাকা বেশি, নেই গণশৌচাগারের ব্যবস্থাও। এসব নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার প্রভাবে পশুর হাট থেকে মুনাফা লুফে নিচ্ছেন হাট কর্তৃপক্ষ। এদিকে আদমদীঘি পশুর হাট ও সান্তাহার রাঁধাকান্ত পশুর হাটেরও একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ এই হাটে ট্রেন আসার সময় মাইকে ডেকে বলা হয় ট্রেন আসছে সাবধান! রেল লাইন থেকে গরু সরাও। ট্রেন দুই কিলোমিটার দুর থেকে হুইসেল বাজিয়ে গতি কমিয়ে আসতে হয়। কয়েক বার ট্রেন ব্রেক কষে থামানোর আগেই ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে ইতিপূর্বে একজন কৃষকের গরু ও একজন মানুষ ট্রেনে কেটে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ নশরতপুর রেল স্টেশনের উপর গরুর হাট চলে আসছে। এতে প্রশাসনের নেই কোন বাঁধা, নেই আইনগত পদক্ষেপ। ফলে তাদের নিরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
বগুড়া সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (পথ) নারায়ন চন্দ্র বলেন, এ ব্যাপারে রেলওয়ে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বগুড়া ডিসি মহোদয় ও স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে নশরতপুর রেল স্টেশনের উপরে পশুর হাট বসায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিশাত আনজুম অনন্যার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কা/আ
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত