আদমদীঘিতে এক্সরে মেশিন বিকল, বিড়ম্বনার শিকার হাজারো রোগী

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২১, ১৭:৫৯ |  আপডেট  : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৭

বগুড়ার আদমদীঘিতে ৫০শয্যা হাসপাতালে ২১জন চিকিৎসকের আসন থাকলেও মাত্র ৯জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। এই উপজেলায় প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষের বসবাস।  বিশেষ করে করোনা ক্লান্তি সময়ে চিকিৎসক সংকটের কারনে রোগীদের সেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। এদিকে দীর্ঘ দিন থেকে হাসপাতালের এক্সরে মেশিন বিকল হয়ে পড়ে থাকাতে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের বাইরে থেকে এক্সরে করে আনতে হচ্ছে। এতে করে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে হাজার হাজার ভুক্তভোগীদের। জরুরী ভিত্তিতে এই হাসপাতালে আরো চিকিৎসক প্রেরন ও নতুন এক্সরে মেশিন প্রদানের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোড় দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

জানাযায়, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ৬ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবায় একমাত্র পথ ৫০শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতাল। এ ছাড়া আদমদীঘি উপজেলার পার্শ্ববর্তী আক্কেলপুরের তিলকপুর, দুপচাঁচিয়া ও রানীনগর উপজেলার কিছু অংশের মানুষেরা এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। বর্তমান করোনা ক্লান্তি সময়ে প্রত্যেকটি গ্রামের মানুষরা সর্দি জর সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা এই হাসপাতালে ছুটে আসছে চিকিৎসা নিতে। অথচ এই ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ২১ জন চিকিৎসকের আসন সংখ্যা থাকলেও বর্তমান চিকিৎসক রয়েছে  মাত্র ৯ জন।

এই উপজেলায় বসবাসরত প্রায় তিন লক্ষাধিক লোকের  চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে স্বল্পসংখ্যক চিকিৎসকরা। এছাড়াও এই হাসপাতালে অল্প খরচে গরীব অসহায় রোগীরা এক্সরে করতে এসে ফিরে যাচ্ছে। তাদেরকে বেশী টাকায় বিভিন্ন ক্লিনিকে এক্সরে করতে হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে  সরজমিন হাসপাতালে ভর্তি এক রোগী রোজিনা বেগমের কথা হয় এপ্রতিনিধির তিনি জানান,আমি গরীব মানূষ এই হাসপাতালের এক্সরে নষ্ট হওয়ায় বেশী টাকা দিয়ে বাহিরের একটি ক্লিনিক থেকে এক্সরে করতে হয়েছে আমাকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা  ডাঃ মোমেনুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ক্লান্তিকাল সময়ে মাত্র ৯ জন চিকিৎসক দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এক্সরে মেশিনটি বেশকিছু দিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে। এব্যাপারে উদ্ধর্তৃন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত