আদমদীঘিতে আশ্রয়ন পল্লীর বাসিন্দারা পানির কষ্টে নাকাল

  আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২১, ১৯:১৫ |  আপডেট  : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৩৫

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় আশ্রয়ন পল্লীর বাসিন্দাদের রান্না, খাওয়া ও গোসলের পানির কোন ব্যবস্থা হয়নি অদ্যবধি। অর্ধ থেকে এক কিলোমিটার দুরের গ্রাম থেকে হাঁড়ি-পাতিল ও ড্রামে করে ভ্যানযোগে পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে তাঁদের নাকাল অবস্থা। বিশুদ্ধ পানি নিয়ে এমন ঘটনা চলছে আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের ছাতনি মৌজায় নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এ। পানি সংকটের সাথে দুর্যোগ সহনীয় বাড়ির এই পল্লীতে এখনই দেখা দিয়েছে দুর্যোগের প্রাথমিক আলামত। দিন দশেক পুর্বে হওয়া এক পশলা বৃষ্টি এবং বোরো ধানের জমিতে থেকে চোঁয়ানো পানিতে পল্লীর প্রবেশ পথ (গলি) ও আঙ্গিনা পানি- কাদায় মাখামাখি। 

জানা গেছে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উপহাড়ের প্রথম পর্যায়ে আদমদীঘি উপজেলায় বরাদ্দ মেলে এক শ’ বাড়ি। এর মধ্যে সান্তাহার ইউনিয়নে ১৪টি। সান্তাহার পৌর শহরের তারাপুরের মোড়ে, সান্তাহার ইউনিয়নের ছাতনি মৌজায় এবং উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের ইশবপুরে হাল (আর,এস) রেকর্ডে খাস হয়ে যাওয়া দুই ফসলের জমিতে বাড়িগুলো নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নির্মান কাজ চলা অবস্থায় বরাদ্দ প্রাপ্ত পরিবারের স্বামী-স্ত্রীর নামে বাড়ির দুই শতক জমি রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়া হয়। এরপর হস্তান্তর করা হয় বাড়ি। ছাতিয়ানগ্রামের ইশবপুরে ১০ পরিবারের পল্লীতে বরাদ্দ প্রাপ্ত ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবার বাড়ি বুঝে পাওয়ার পরই বসবাস শুরু করে। 

কিন্তু সান্তাহারের পল্লীতে পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা না থাকায় বরাদ্দ পাওয়া ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো নতুন ঠিকানায় আসতে গড়িমসি করতে থাকে। শুক্রবার পর্যন্ত অর্ধেক পরিবার বসবাস শুরু করেছে। অচিরেই অবশিষ্ট পরিবারগুলো আসবেন বলে জানিয়েছেন বর্তমানে বসবাসকারিরা। ওই পল্লীতে বসবাসকারি পরিবারগুলোকে অর্ধ থেকে এক কিলোমিটার দুর থেকে ভ্যান যোগে হাঁড়ি-পাতিল ও ছোট ড্রামে করে পানি নিয়ে এসে প্রাত্যহিক কাজকর্ম চালাতে দেখা গেছে। এঅবর্ণীয় দুর্ভোগ থেকে কবে মিলবে মুক্তি সে প্রশ্ন বাসিন্দাদের।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত