আগামী মে মাসে পুরোদমে পদ্মা নদীর পাড় শাসনের কাজ শুরু হবে-পানি সম্পদ সচিব

  শেখ সাইদুর রহমান টুটুল

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ২১:৫৫ |  আপডেট  : ৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:২৭

পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সচিব নাজমুল আহসান বলেছেন, আগামী মে মাসের ৬ তারিখে মধ্যে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা সেতু থেকে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দীঘির পাড় পর্যন্ত মোট ১৩.৭ কিলোমিটার নদীর পাড় শাসনের কাজ পুরোদমে শুরু করা হবে। তিনি বলেন, যে সব এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়নি এবং যেখানে গ্যাপ সৃষ্ঠি হয়েছে সে সব এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ দ্রুত গতিতে করা হবে। এর আগে মে মাসের ৩ তারিখে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে সভা রয়েছে সভা শেষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

তিনি আরোও বলেন,মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায় সারা দেশে নদী ভাঙ্গন কবলীত এলাকায় নদী শাসনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। যাতে করে আর একটি পরিবারও নদী ভাঙ্গনের শিকার না হয় । কোন পরিবার যাতে ভিটে মাটিহীন না হয়। বর্ষা মৌসুম আসার আগেই এই নদী শাসনের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুরু করার কথা বলেন। তিনি শনিবার লৌহজং উপজেলার লৌহজং- তেউটিয়া ইউনিয়নের বড় নওপাড়া এলাকায় পদ্মা নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন, জিও ব্যাগ ফালানো ও ব্লক তৈরী কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। স্থানীয় সাংসদ অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, সাড়ে চারশ’ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রায় ১৪ কিলোমিটার ব্যাপি এই নদী শাসনের কাজ করা হলে পদ্মার ভাঙ্গন অনেকটাই রোধ করা যাবে। তিনি আরোও বলেন, প্রতিবছরই লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি এলাকায় নদী শাসনের কাজ করে চলেছি। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলে মানুষের ভিটে মাটি ও জান মালের রক্ষা করার সকল ব্যবস্থা গ্রহন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী শেখ হাসিনা। আপনাদের সেবা করার লক্ষ্যে আবারো আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের ডিজি মো. নুরুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম খান, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা: মো. আব্দুল আউয়াল, টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাসেদুজ্জামান, লৌহজং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ শিকদার, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. ইদ্রিস আলী শেক, ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মো. রফিকুল ইসলাম মোল্লা, মো. ফারুক ইকবাল মৃধা, মো. মোতালেব শেখ, আওয়ামীলীগ নেতা মো. মনির হোসেন মোড়ল, মো. মিজানুর রহমান মোল্লা, মো. আবু নাসের রতন, মো. কামরুজ্জাম অরুন, শেখ মো. শামিম প্রমুখ।

উল্লেখ্য গত ১৯৯৫ সাল থেকে লৌহজংয়ে পদ্মা ভাঙ্গন শুরু হয়। এতে দুইটি ইউনিয়ন পুরোপুরি বিলীন ও ৮টি ইউনিয়ন আংশিক নদী ভাঙ্গনের শিকার হন এতে হাজার হাজার পরিবার ভিটে মাটি ছাড়া হন । বর্তমানে গত এক বছর ধরে নতুন করে ৪টি ইউনিয়ন যেমন লৌহজং-তেউটিয়া, বেজগাঁও, গাওঁদিয়া ও হলদিয়া ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গনের শিকার হন প্রায় কয়েক হাজার পরিবার।
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত