আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে ভুটানের সব ও ভারতের ৬০ পণ্য আসবে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৯ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৫ |  আপডেট  : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৫

জেলার আখাউড়া ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা রেলপথ চালুর মধ্য দিয়ে দু’দেশের বাণিজ্য প্রসার আরও ঘটবে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়িরা। 
এই রেলপথ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আন্ত:সীমান্ত যোগাযোগের আরও এক নতুন যুগে পৌঁছাল বাংলাদেশ-ভারত সর্ম্পক। 
গত ১ নভেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। তবে এই রেলপথে শুরুতে কোন যাত্রী পারাপাড় হবে না। শুধুমাত্র দু’দেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হবে। তার জন্য এবার অনুমতি মিলেছে ভুটানে উৎপাদিত সব পণ্য (সুতা ও আলু ব্যতীত) ও ভারত থেকে আমদানি করা হবে ৬০টি পণ্য। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতিত সবধরনের পণ্য উল্লেখিত রেলপথ দিয়ে রফতানি করা যাবে। 
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়।
অনুমোদিত আমদানিযোগ্য পণ্য হলো-গবাদি পশু, মাছের পোনা, তাজা ফল-মূল, গাছ-গাছড়া, বীজ, চাল, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, বলকে, কোয়ার্টজ, শুঁটকি মাছ, সাতকরা, আগরবাতি, জিরা, তরল রাবার, মেইজ, বড় পাথর, সয়াবিন বীজ, বাঁশ জাতীয় পণ্য, অর্জুন গাছের পাউডার, পান, সিএনজি অটোরিকশার পাটর্স, কাজুবাদাম, কাগজ, চিনি, জেনারেটর, ভাঙ্গা কাঁচ, চকোলেট, বেবি ওয়াইপার, কনফেকশনারি দ্রব্যাদি, বিটুমিন, পান, টমেটো, মেথি বীজ, শুকনা তেঁতুল, শুকনা কুল, ফ্লাই অ্যাশ, সকল প্রকার খৈল, ফায়ার ক্লে, থান ক্লে, মার্বেল চিপস, তিল, সরিষা, সুপারি, স্ক্র্যাপ অ্যান্ড ওয়েস্ট (আয়রন/স্টিল), গ্রানাইট স্ল্যাব, ডাল, গমের ভুষি, ছোলা ও বাঁশ। তবে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ইতোপূর্বে এসব পণ্য আমদানির অনুমোতি ছিল। 
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন এই প্রজ্ঞাপন জারির কারণে ব্যবসায়িদের মধ্যে কিছুটা আগ্রহ বেড়েছে। রেলপথের আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ভারত থেকে পণ্য আমদানি শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা। 
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জানান- আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন চালু হওয়ার ফলে দু’দেশের বাণিজ্যে আরও গতি আসবে। বিশেষ করে ভূটান ও ভারত থেকে পাথর ও গম আমদানি আমাদের জন্য সহজ হবে। আখাউড়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা কামরুল পারভেজ জানান- প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। আশা করছি, শিগগির আমাদের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি আসবে।
প্রসঙ্গত: প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর পর্যন্ত ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই রেলপথের বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।(বাসস)

 

সান
 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত