অপহরনের ৩ দিন পর টয়লেট থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার, চাচী-চাচাতো বোন গ্রেপ্তার

  শফিক স্বপন,মাদারীপুরঃ

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:২৫ |  আপডেট  : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:২৫

মাদারীপুরের শিবচরে অপহরনের ৩ দিন পর পাশর্^বর্ত্তী শরীয়তপুরের  জাজিরায় চাচার বাড়ির ভবনের নির্মানাধীন টয়লেটের মেঝের নীচ থেকে বালু চাপা শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আপন বড় চাচী নার্গিস আক্তার দেখিয়ে দিলে শুক্রবার ভোর রাতে ২ বছর ৪ মাসের শিশুটির লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।  নির্মম এ হত্যাকান্ডে চাচী নার্গিস আক্তার ও চাচাতো বোন হাফসা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় , পারিবারিক ও মামলার সুত্রে জানা যায়, জেলার শিবচরের কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকার ওহাব বেপারির বড় ছেলে আবুল হোসেন বেপারির মৃত্যুর পর তার স্ত্রী নার্গিস ২ ছেলে মেয়ে নিয়ে বাবার বাড়ি পাশর্^বর্ত্তী শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবা এলাকাতে বসবাস করে। স্বামী পীরের বাড়িতে গিয়ে মারা গেলেও নার্গিস এ মৃত্যুর জন্য শশুরসহ ওই বাড়ির লোকদের দায়ী করতো। এছাড়াও স্বামীর মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই ইসমাইল বেপারিকে নার্গিস বিয়ে করতে চাইলে পরিবারটি এতে রাজী হয়নি। উভয় ঘটনার সাথে জমিজমা নিয়েও বিরোধ ছিল এদের মাঝে। গত মঙ্গলবার ওহাব বেপারির বাড়িতে বেড়াতে আসে নার্গিস আক্তারের মেয়ে হাফসা আক্তার(১৪)।পরদিন বুধবার সকালে মা নার্গিস ফোন দিলে মেয়ে হাফসা বাড়িতে রওনা করে  । চলে যাওয়ার আগে হাফসা চাচা ইসমাইল বেপারির স্ত্রী ময়না বেগমের কাছ থেকে তার একমাত্র শিশু সন্তান কুতুবউদ্দিনকে কোলে নেয়। ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে হাফসা কুতুবউদ্দিনকে নিয়ে সটকে পড়ে। সন্তানসহ ভাবী ও হাফসাকে বাড়িতে গিয়েও না পেয়ে কুতুবউদ্দিনের বাবা ইসমাইল বেপারি শিবচর থানায় অভিযোগ করে। 

অভিযোগ পেয়ে শিবচর থানার  একাধিক টিম মাঠে নামে। একটি মাদ্রাসার সিসিটিভি দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় হাফসা কুতুবউদ্দিনকে নিয়ে তার মা নার্গিসের কাছে দেয়। নার্গিস শিশুটিকে কাপড়ে ঢেকে সটকে পরে। কিন্তু কোন কিছুতেই নার্গিস বিষয়টি স্বীকার করছিল না। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর নার্গিস তার ঘরের ভেতরের মধ্যে নির্মানাধীন টয়লেটের মাটির নীচে শিশুটিকে পুতে রাখা হয়েছে বলে জানায়। পরে পুলিশ নার্গিসকে নিয়ে শুক্রবার ভোর রাতে তার ঘরের টয়লেটের মেঝেতে পুতে থাকা অবস্থায় কুতুবউদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত