প্রকৃতির মনোমুগ্ধ কর দৃশ্য

অন্নদানগর হাটে বট-পাইকর গাছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির অভয়াশ্রম

  সারওয়ার আলম মুকুল, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২২, ১৯:০৮ |  আপডেট  : ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১১

পাখির কিচির মিচির শব্দ, গাছ থেকে পাখি উরে যাওয়া, গাছের ডালে বসা, পাখির ছানা কে আহার খাওয়ানো মনোমুগ্ধ কর দৃশ্য দেখতে দেখতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল-বিকেল গড়িয়ে সন্ধার আধাঁর নেমে আসে তবুও হাটে সওদা করতে আসা মানুষেরা (হাটুরেরা) বাড়ী ফিনতে চায় না। যতক্ষন দিনের আলো থাকে তৎক্ষন তারা অপলক দৃষ্টিতে পাখির খেলা, পাখির মেলা দেখতেই সময় পাড় করে। এমন দৃশ্যর দেখা মিলবে কাউনিয়ার সীমান্ত ঘেষা বৃক্ষ অন্নদানগর হাটে। হাটের মাঝে শত বর্ষী দুইটি বট-পাইকর গাছে প্রায় এক যুগ ধরে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বাসা বেঁধে আস্তানা গেড়ে বসবাস করছে। মানুষের হাটে পাখি নির্বিঘ্নে বসবাস করায় অন্নদানগর হাটের আরেক নাম হয়েছে পাখির হাট। 

অন্নদানগর বাজারের দোকানদার তপন শাহ ও দুলাল চন্দ্র শাহ জানান এই বাজারের বট পাইকর গাছে পাখির অভয় আশ্রম বেশ কিছুদিন থেকে, পাখি গুলো দেখতে বাহির থেকে অনেক লোক এই হাটে আসে। অন্নদানগর কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ হানিফ উদ্দিন জানায় প্রায় এক যুগ পূর্বে হঠাৎ এক সন্ধায় পাইকর গাছে শত শত সাদা বক, কানি বক, ঝুঁটি বক, লাল হলদে বক, পান কৌড়ি, শালিক, চীল, কাক, শামুকখোল, কদমা বাসা বাঁধে এবং সকাল হওয়ার আগেই উরে যায়। এর পরে আস্তে আস্তে দু একটি পাখি গাছেই থেকে যায়। পরে ধিরেধিরে গাছের সমস্ত ডাল জুড়ে বিভিন্ন পাখির বসবাস শুরু হয়। দিন রাত সব সময় ওই গাছে শত শত বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আগম প্রস্তান দেখা যায়। ওই গাছের ডালের ডালে পাখিরা বাসা বেঁধে বাচ্চা জন্ম দেয় এবং নির্বিঘ্নে লালন পালন করে। 

ইটাকুমারী শিবচন্দ্র মহাবিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক নুর আফরোজ জানান, স্থানীয় লোকজনের সাথে পাখিদের সখ্যতা গড়ে ওঠেছে। গাছ থেকে কোন পাখির ছানা পড়ে গেলে তারা ছানাটিকে গাছের ডালে অথবা বাসায় তুলে দেয়। কোন পাখি শিকারী যাতে পাখির প্রান হরন করতে না পারে এ জন্য হাটের দোকানদাররা পাহাড়া দেয়। হাটে সওদা করতে আসা হাটুরেদের গায়ে মল ত্যাগ করে তব্ওু হাটুরেদের কিছু মনে হয় না। এভাবেই অন্নদানগর হাট পাখির হাটে পাখির মেলায় পরিনত হয়েছে। এখানে প্রায় ১৮-২০ প্রজাতির পাখির অভয়াশ্রমে পরিনত হয়েছে। জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিবে ঈশ্বর। এই মন্ত্রে দিক্ষা নিয়ে এলাকার সবাই পাখি প্রীতি মনোভাব নিয়ে কাজ করছে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত