অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রমিক শ্রেণীকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই জোরদার করতে হবে : শাজাহান খান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২২, ১৮:৫৫ |  আপডেট  : ১ মে ২০২৪, ১৮:২১

কাজ, মজুরী, মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় শ্রমিক শ্রেণীকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই জোরদার করতে হবে। অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে অসংগঠিত শ্রমিকদের সংগঠিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় শ্রমিকশ্রেণী নিদারুন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এদিকে পুঁজির আগ্রাসী আক্রমণ ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে শ্রমিকরা ভীষণ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী শ্রমিকশ্রেণীর কাজ ও মজুরী দুটিই সংকুচিত হচ্ছে। এই সংকট থেকে বাঁচতে হলে শ্রমিকশ্রেণীকে আরো বেশি করে সচেতন ও সংগঠিত হতে হবে। একই সাথে শ্রমিকশ্রেণীকে বর্তমান বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে মোকাবেলায় দক্ষ শ্রম শক্তিতে রূপান্তরিত হতে হবে। জাতীয় কারিগর ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণী সচেতন ও সংগঠিত করে দক্ষতা অর্জনে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

আজ ২১ নভেম্বর ২০২২ রোজ সোমবার বিকাল ৩ টায় সেগুনবাগিচাস্থ কচিকাঁচার মিলনায়তনে “জাতীয় কারিগর ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের অভিষেক ও আলোচনা সভা” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা, সাবেক মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।

শাজাহান খান বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক—তৃতীয়াংশের বেশি শ্রমজীবী মানুষ। যাদের শ্রমে—ঘামে দেশের অর্থনীতির চাঁকা সচল রয়েছে। অথচ তাদের নিজেদের জীবন চাঁকা ক্রমশই অচল হয়ে পরছে। এই বিপুল শ্রমজীবী মানুষকে সচেতন—সংগঠিত ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা যায় তাহলে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নত দেশে পরিণত হতে পারে। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভীষণ ২০৪১ রূপায়নে শ্রমশক্তিকে দক্ষ শ্রমশক্তিতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কতৃর্পক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছেন। যা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শ্রমশক্তি রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় কারিগর ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন—২০৪১ রূপায়নে সরকারের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করে দেশ উন্নয়নে সহযোগী হিসাবে কাজ করবে। এই ফেডারেশন শ্রমিক আন্দোলনের গতানুগতিক ধারা পরিহার করে বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনে নতুন ধারা আন্দোলনর ঢেউ সৃষ্টি করবে। শ্রম দিয়ে কাজ দিয়েই তা সৃষ্টি করতে হবে।

প্রধান বক্তা জাতীয় কারিগর ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন। আমরা মনে করি কারিগর ও শিল্প শ্রমিকদের রাষ্ট্র পৃষ্ঠপোষকতা দিলে এরা হয়ে উঠবে সোনার বাংলা গড়ার সোনার কারিগর।

জাতীয় কারিগর ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও টাঙ্গাইল—২ আসনের সংসদ সদস্য জননেতা ছোট মনির বলেন, সারা বাংলাদেশের কারিগর শ্রেণীকে ঐক্যবদ্ধ করে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে দেশে এবং বিদেশে দক্ষ জনশক্তি বিনির্মাণে জোরালো ভূমিকা রাখবো।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর কুতুব আলম মান্নান, শ্রম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া এমপি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী, ন্যাশনাল স্কিলস্ ডেভেলপমেন্ট কতৃর্পক্ষের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম খোরশেদ আলম, জাতীয় কারিগর শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন, সহ—সভাপতি আনোয়ার হোসেন মনির, আব্দুল জলিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খান বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ বাছির, সৈয়দ মোঃ লিটন, মোঃ সেলিম, আব্বাস উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সরোয়ার আলম চৌধুরী, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক আবু হানিফ প্রমুখ। সভায় সঞ্চালনা করেন জাতীয় কারিগর শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সহ—সভাপতি আলাউদ্দিন সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলী।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত