'বাংলাদেশের সঙ্গে টিকার যৌথ উৎপাদন করলেও প্রযুক্তি দিতে রাজি নয় চীন-রাশিয়া'
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২১, ১১:০৪ | আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১২
বাংলাদেশের সঙ্গে টিকার যৌথ উৎপাদনে রাজি আছে চীন ও রাশিয়া। এ নিয়ে সরকারসহ বেসরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলাপও চলছে দেশ দুটির। তবে দুটি দেশই টিকা তৈরির প্রযুক্তি দিতে রাজি হয়নি।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আমরা টিকার যৌথ উৎপাদনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুদেশই এটা করতে রাজি। চীন বলেছে তাদের দুইটা ফার্ম, সিনোফার্ম এবং সিনোভ্যাক যৌথ উৎপাদনে যেতে রাজি আছে। তারা আমাদের এখানে কিছু ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে আলাপও করেছে। এখন তারা কোম্পানির সঙ্গে দেনদরবার করছে। আমাদের চাচ্ছি, টেকনোলজি; কীভাবে টিকা বানানো যায়। কিন্তু ওরা এটা দিতে রাজি না।’
দেশে টিকার যৌথ উৎপাদন খুব শিগগিরই শুরুর প্রত্যাশা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো দেশ তাদের টেকনোলজি দিতে রাজি না। আর আমাদের কোম্পানিগুলো চাচ্ছে প্রযুক্তি। আমরা টেকনোলজি চাই।’
সোমবার (১৩ জুলাই) অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই (এবিসিএ) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান জানান, সরকারের অনুমতি পেলেই চীন বাংলাদেশে যৌথ টিকা উৎপাদন শুরু করতে প্রস্তুত।
আগস্টে কোভ্যাক্সের আওতায় আসছে ৬০ লাখ টিকা
আগামী আগস্ট মাসে কোভ্যাক্স থেকে বাংলাদেশে ৬০ লাখ ২০ হাজার টিকা আসবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। একইসঙ্গে খুব শিগগিরই জাপান থেকে ২৯ লাখ টিকাও দেশে এসে যাবে বলেও জানান মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, ‘আগস্টে আমরা ৬০ লাখ ২০ হাজার টিকা পাব কোভ্যাক্সের আওতায়। জাপান আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি দিচ্ছে। তারা দেবে ২.৯ মিলিয়ন ডলার। এরইমধ্যে জাপান এটা ঘোষণা দেবে, খুব শিগগিরই ঘোষণা করবে। তারাও কোভ্যাক্স থেকে দেবে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দেবে।’
ইউরোপ থেকে ৩০ লাখ টিকা দেশের আসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘তিন মিলিয়ন টিকা ইউরোপ থেকে আসবে। এগুলো শিপম্যান্টের জন্য রেডি আছে। আমরা পয়সা দিয়ে চায়না থেকে যেগুলো কিনছি, সেগুলোতে আসতেছে। আরও পাঁচ মিলিয়ন আসবে। তাছাড়া সিনোফার্ম থেকে আমাদের আরও ১০ লাখ টিকা উপহার দিবে চীন। আমরা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলাপ করেছি, কানাডাকে বলেছি।’
দেশে যে পরিমাণ টিকা আসছে সেগুলো সংরক্ষণে সমস্যার কথাও তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমস্যা হবে টিকাগুলো সংরক্ষণ নিয়ে। আমাদের এত লজিস্টিক আছে কি-না এটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। আমি শুনেছি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করছে টিকা রাখার জন্য। একসঙ্গে তো আমরা দিতে পারব না। এজন্য আমরা অল্প অল্প করে আনতে চাই।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত