আটোয়ারীতে মৃত চিতাবাঘ উদ্ধার, বিষ প্রয়োগের আলামত

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১৩ |  আপডেট  : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:০৬

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী সীমান্তে একটি চিতা বাঘের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার ( ২ফেব্রয়ারি)  সকালে উপজেলার তোড়িয়া ইউপির দাড়খোর সীমান্ত নাগর নদীর পাড়ে মৃত বাঘটি পাওয়া যায়।  এরপর বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য মৃত বাঘটিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

চিতা বাঘটি দৈর্ঘ্যে ৫২ ইঞ্চি ও উচ্চতায় ৩০ ইঞ্চি বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। এ বিষয়ে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আটোয়ারী উপজেলা প্রশাসন। বন বিভাগ ও স্থানীয়রা জানায়, দাড়খোঁর সীমান্তের ভারতীয় অংশের চা বাগান ও জঙ্গলে চিতা বাঘসহ অনেক বন্যপ্রাণী রয়েছে। 

সীমান্তের বাংলাদেশের অভ্যন্তরের চা বাগান ও ভুট্টা ¶েতে মাঝেমধ্যে এমন প্রাণী দেখা যায়। বৃহস্পতিবার ওই সীমান্ত এলাকার দাড়খোর গ্রামের এক কৃষকের একটি গরুকে আক্রমণ করে চিতা বাঘটি। বাঘের খবর পেয়ে কয়েকশত গ্রামবাসী সেখানে ভিড় শুরু করে। এরই মধ্যে মারা যাওয়া গর“র সঙ্গে কে বা কারা বিষ মিশিয়ে রাখেন। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সীমান্তের কাছে নাগর নদীর পাড়ে বাঘটির মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিজিবি, পুলিশ ও বনবিভাগের কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে যান।  

উপজেলার ওই দাড়খোর গ্রামের কৃষক মনতাজ বলেন, বাঘটি ওখানকার একটি গরুকে আক্রমণ করেছিল। পরে মৃত গরুর মধ্যে বিষ দেওয়া হয়েছিল। পরে বাঘটি আবারও ওই গরুর মাংস খেয়ে বিষের কারণে মারা গেছে বলে শুনেছি। তবে কে বিষ দিয়েছে আমি জানি না।

এলাকার ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে দড়খোর আকবর আলীর একটি গরু হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে মারা যায়। তখনো কেউ বাঘের কথা জানত না। পরে মৃত গরুটিতে বিষ প্রয়োগ করে নাগর নদীর পাড়ে ফেলে রাখা হয়। স্থানীয়দের ধারণা, শেয়াল বা অন্য কোন প্রাণী গরুটিকে মেরে ফেলেছে। আজ সকালে বাঘটিকে নদীর পানিতে পড়ে থাকতে দেখে বনবিভাগে খবর দেওয়া হয়।

বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মধুসুধন বর্মণ বলেন, ‘এলাকায় চিতা বাঘটিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয়রা। তবে বাঘটি কীভাবে মারা গেছে, তাৎ¶ণিক জানা যায়নি। শুক্রবার সকালে মৃত অবস্থায় বাঘটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উপজেলা প্রাণি সম্পদ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
 
আটোয়ারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বন বিভাগের মাধ্যমে আমাদের হাসপাতালে একটি মৃত বাঘ আনা হয়েছে। আমাদের উপজেলা পর্যায়ে সাধারণত ময়নাতদন্তের নমুনা পরী¶ার জন্য ল্যাব নেই, নমুনা পাঠানোর তেমন ব্যবস্থাও নেই। আমরা ময়নাতদন্ত করে রিপোর্ট দিতে পারব।  

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাসেদুল হাসান বলেন, চিতা বাঘটির মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
 

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত