‘শাজাহান খান আগামীতে শেখ হাসিনারও পদত্যাগ চাইবে’

  মাদারীপুর প্রতিনিধি:

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২১, ১৫:৪৬ |  আপডেট  : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩:৪৪

‘শাজাহান খান আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য হয়ে মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের পদত্যাগ দাবী করে, সেই লোক আগামীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও পদত্যাগ চাইতে পারে। তিনি কখনোই আওয়ামীলীগ মনপ্রাণে ধারণ করে নাই। এটাই তার চরিত্র।’ এমন মন্তব্য করেছেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে। তিনি বুধবার বেলা ১টার দিকে মাদারীপুরের ঘটকচর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সোহরাব হোসেন সর্দারের মার্কেট ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে সমাবেশে একথা বলেন।

কাজল কৃষ্ণ দে বলেন, ‘শাজাহান খান তার পিতা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালিন সদস্য মৌলভী আছমত আলী খানের সাথেও আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে পারেনি। এখন তিনি আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য হয়ে মাদারীপুর জেলা আওয়ামলীগের সভাপতির পদত্যাদ চান। যে লোক নিজের দলের সভাপতির পদত্যাগ চাইতে পারে, সে আগামীতে শেখ হাসিনারও পদত্যাগ চাইতে পারে। এটাই তার রাজনৈতিক চরিত্র। তিনি কখনোই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন নাই। তিনি কখনোই আওয়ামীলীগের আদর্শ ধারণ করেননি। তিনি হাত-পা ধরে এক সময়ে আওয়ামীলীগের সাথে এসেছিলেন। এখন তিনিই দলের ক্ষতি করছেন।’

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে আরো বলেন, ‘যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান জীবিত ছিল তখন এই ব্যক্তিটি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্যে যে এদেশে জাসদ-গণবাহিনী সৃষ্টি হয়েছিল। যারা এদেশে গাম-গঞ্জে মা-বোনেদের, আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দদের  নির্যাতন-অত্যাচার করেছে। তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই সাংসদ শাজাহান খান। এই সন্ত্রাসীদের পরিবার থেকেই আবার নতুন সন্ত্রাসী বের হয়েছে। আমরা দেখেছি গত ১২ জুন কিভাবে ঘটকচরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে নির্যাতন করতে।’ মানববন্ধনে আওয়ামীলীগের জেলা-উপজেলার নেতারা বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দুয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি সোহরাব হোসেন সর্দার। জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মাদারীপুর পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, আজাদ মুন্সি, জেলা যুবলীগের সভাপতি আতাহার সর্দার, জেলা ¯ে^চ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হাওলাদার, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি জাকির হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিন হোসেন অনিক, সাধারণ সম্পাদক বায়েজিত হাওলাদারসহ নেতৃবৃন্দ। এসময় জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা অংশ নেয়। 

উল্লেখ্য, গত ১২ জুন মাদারীপুরের ঘটকচর এলাকায় মাদারীপুর জেলা আওয়ামলীগের একাংশের অতর্কিত হামলায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সোহরাব সর্দারের মার্কেটের দুইটি ব্যাংক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অন্তত ১৪টি মটরসাইকেল ভাংচুর করে। এতে পুলিশ, নারী ও শিশুসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনায় সদর থানায় মামলা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তোজনা বিরাজ করছে। আওয়ামীলীগের একাংশের নেতৃত্ব দেন শাজাহান খান।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত