৫ মে পর্যন্ত সড়কে চলতে পারবে যাদের গাড়ি
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২১, ০৯:০৫ | আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৩৬
করােনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত সড়কে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরােপ করা হয়েছে। তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযােজ্য হবে না।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মােতাবেক ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত সড়কে সব ধরনের পরিবহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরােপ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, তবে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযােজ্য হবে না।
চলতে পারবে যাদের গাড়ি
আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা। যেমন- কৃষি উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন।
এছাড়া ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকাদান, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম চলবে।
একইসঙ্গে টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা বহির্ভূত থাকবে ।
এর আগে চলমান বিধিনিষেধ ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে বুধবার দুপুরে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কয়েকটি শর্ত সংযুক্ত করে ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপের সময় বর্ধিত করা হলো।
গত সোমবার (২৬ এপ্রিল) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ভারতের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এটা আমাদের দেশেও ছড়িয়ে যেতে পারে। সেজন্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে অবস্থাটা আছে সেটি আরও এক সপ্তাহ কন্টিনিউ করা। না হলে এটা আরও ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করতে পারে। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেজন্য বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত