৩০ বছর পর দম্পতি জানলেন মেয়ে তাদের নয়!

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৪১ |  আপডেট  : ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০১

কত আদর যত্নেই না সন্তানকে লালন-পালন করেন বাবা-মা। কিন্তু তিলে তিলে বড় করে তোলা সন্তান যদি নিজের না হয়, তাহলে কী অবস্থা হয় বাবা-মায়ের একবার ভেবে দেখুন। তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে এক দম্পতির সঙ্গে।

৩০ বছর ধরে লালন-পালনের পর তারা জানতে পারলেন, তাদের মেয়ে আসলে তাদের নয়! শুনতে অবাক লাগলেও বাস্তবেই এমন ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে ওহাইওতে। এ ঘটনায় একজন ফার্টিলিটি ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই দম্পতি।

দ্য নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালে গর্ভধারণের এই পদ্ধতি ব্যবহারের পর মেয়ের জন্ম দেন জেনিন। কিন্তু সম্প্রতি ডিএনএ পরীক্ষায় বাবা জন মাইক হার্ভের সঙ্গে মেয়ে জেসিকার কোনো জৈবিক সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এরপরই বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) মামলা দায়ের করেন এই দম্পতি। ডা. নিকোলাস স্পিরটোস এবং সুমা স্বাস্থ্য সিস্টেমের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, অবহেলা এবং প্রতারণার অভিযোগ করেছেন তারা। তাদের অভিযোগ, তারা মাইকের জেনেটিক উপাদান ‘সঠিকভাবে সংগ্রহ’ এবং ‘সুরক্ষা’ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে জেনিন বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে আমার স্বামী এবং আমি একটি সন্তানের জন্য একজন ফার্টিলিটি ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, আমাদের স্পষ্টভাবেই বলেছিলাম, সন্তান আমাদের হতে হবে। এই পদ্ধতিতে মাইকের জেনেটিক উপাদান ব্যবহার করা হবে জেনেই আমি ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন করেছি। কিন্তু আমাদের অজান্তেই ডা. স্পিরটোস একজন অপরিচিত ব্যক্তির শুক্রাণু ব্যবহার করেছেন।

২০২০ সালে ইউরোপে ঘুরতে যাওয়ার সময় জেসিকার ডিএনএ টেস্ট করান এই দম্পতি। তখনই জেসিকা যে তাদের মেয়ে নয়, সেই বিষয়টি সামনে আসে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত