২৫ বার এভারেস্ট চূড়ায় উঠে পর্বতারোহীর বিশ্বরেকর্ড!

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৮ মে ২০২১, ১১:১৬ |  আপডেট  : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬:৩৮

এক এক করে টানা ২৫তম বারের মতো পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় উঠলেন নেপালি পর্বতারোহী কামি রিতা শেরপা। শুক্রবার (৭ মে) ২৫তম বারের মতো এভারেস্ট জয় করে নিজেকেই ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। ভেঙেছেন ২৪ বার এভারেস্ট জয় করে গড়া নিজের আগের রেকর্ড।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শুক্রবার নেপালের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ২৫তম বারের মতো এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন কামি রিতা শেরপা। এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে ছয় দিনের মধ্যে দু’বার এভারেস্ট জয় করেছিলেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ২০১৯ সালের ১৫ মে ২৩তম বারের মতো ৮ হাজার ৮৫০ মিটার (২৯ হাজার ৩৫ ফুট) এভারেস্ট চূড়া জয় করেন রিতা। এর ছয়দিন পরই ২১ মে ২৪তম বারের মতো ফের এভারেস্ট জয় করেছিলেন। এতোদিন সেটাই ছিল সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড।

তবে পর্বতারোহী কামি রিতা শেরপার লক্ষ্যটা ছিল আরও বড়। তার লক্ষ্য ছিল ২৫ বার এভারেস্ট আরোহণের রেকর্ড করা। শুক্রবার সেই লক্ষ্যেও পৌঁছে গেলেন তিনি।

কামি রিতা শেরপার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আপা শেরপা ও পূর্বা তাশি শেরপার ২১ বার করে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত এভারেস্ট জয়ের রেকর্ড রয়েছে। তবে ২১ বার করে জয় করার পর অবসর নেন তারা দু’জন। কিন্তু এগিয়ে যেতে থাকেন রিতা শেরপা। ২০১৭ সালেই আপ ও পূর্বা তাশি শেরপাকে ধরে ফেলেন রিতা। এরপর ২০১৮ সালে ২২তম বার এভারেস্ট জয় করে গড়েন বিশ্ব রেকর্ড।

নেপালের এভারেস্ট শৃঙ্গের কাছে সলু থুম্বু জেলার থামে গ্রামে বেড়ে ওঠেন ৫০ বছর বয়সী শেরপা রিতা। ১৯৯৪ সালে ১৩ মে প্রথম এভারেস্ট চূড়ায় উঠেছিলেন তিনি। এরপর প্রতি বছরই অনেকটা নিয়ম করে সর্বোচ্চ এই পর্বতশৃঙ্গটি জয় করতে থাকেন তিনি।

১৯৯৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৪ বার এভারস্টে জয় করেন রিতা শেরপা। অবশেষে ২০২১ সালে তিনি ২৫তম বারের মত শৃঙ্গটির চূড়ায় উঠলেন। এভারেস্টের পাশাপাশি পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত কে-২, চো-ওইউ, মানাসলু ও লোতসে পর্বতও জয় করেছেন রিতা।

উল্লেখ্য, নেপালের হিমালয় ও এর আশপাশের এলাকায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শেরপারা বসবাস করেন। অনবরত পাহাড়ে চড়ায় ওপরে ওঠার ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা সৃষ্টি হয় তাদের মধ্যে। এর কারণে অন্য এভারেস্ট আরোহীদের গাইড হিসাবে কাজ করে থাকেন তারা।

সূত্র: এনডিটিভি

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত