১৬৭ বছর আগে নারীমুক্তির দ্বার উন্মোচনের একটি ঘটনা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৪ অক্টোবর ২০২২, ১৪:১০ |  আপডেট  : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬

ফাইল ছবি

কিংবদন্তী তারাই যারা সমাজকে এমন কিছু উপহার দেন যা থেকে এক মহাকালের সৃষ্টি হয়। ১৮৫৫ খ্রীষ্টাব্দের ৪ অক্টোবর নারীদের জন্য মহাকালের সূচনা হয়। রাজা রামমোহন রায় সতিদাহ প্রথা বিলুপ্ত করেন তার ২৫ বছর পর বিধবা বিবাহ আইন প্রচলনের জন্য আবেদন করেন। এরপর ১৮৫৬ আইনটি ২৬ জুলাই এই আইন পাশ হয়। এতে করে অল্পবয়স্ক নারীরা শুধুমাত্র বিবাহই করতে পারেনা বরং নানান অমানিসিক নির্যাতন থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পায়।

বিদ্যাসাগর যে আবেদন পাঠান তাতে প্রায় সহস্রটি স্বাক্ষর ছিল| বিরোধী পক্ষ থেকেও বিপরীত আবেদন পৌঁছায়| কিন্তু বহুবিধ বিচার আলোচনার পর সরকারি কর্ত্তৃপক্ষ ব্যবস্থাপক সভায় বিধবা-বিবাহ আইন পাশ করিয়ে নেন (২৬ জুলাই, ১৮৫৬ খ্রীঃ)| শান্তিপুরের তাঁতিরা তখন কাপড়ের পাড়ে বুনে দিত 'বেঁচে থাক বিদ্যাসাগর চিরজীবী হয়ে, সদরে করেছে রিপোর্ট, বিধবাদের হবে বিয়ে'| বিধবা বিবাহ আইন প্রবর্তিত হলে তাদের এই স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস যেন সার্থকতা লাভ করল|” 

দ্য হিন্দু উইডো'স রিম্যারেজ অ্যাক্ট, ১৮৫৬ আইনটি ২৬ জুলাই ১৮৫৬ এ আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনাধীন সময়ে তখনকার ভারতের গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির সহায়তায় ভারতবর্ষের সকল বিচারব্যবস্থায় হিন্দু বিধবাদের পুনর্বিবাহ বৈধ করা হয়েছিল। বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় তৎকালীন বড়লাট লর্ড ক্যানিং আইন প্রণয়ন করে বিধবা বিবাহ কে আইনি স্বীকৃতি দেন। লর্ড উইলিয়ম বেন্টিনয়ের দ্বারা সতীদাহ বিলুপ্ত করার পর এটিই প্রথম বড় সমাজ সংস্কার আইন।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত