১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত র‌্যাব

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩:৫৪ |  আপডেট  : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৫৩

১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে যেকোনো ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেছেন, বিএনপির সমাবেশ ঘিরে র‌্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল ফোর্স, স্পেশাল ডগ স্কোয়াড, হেলিকপ্টার ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে। নাশকতার পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সেজন্য সাদা পোশাকে র‌্যাবের গোয়েন্দা সদস্যরাও মোতায়েন থাকবে।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার মঈন।

গতকাল রোববার নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র পাঁচ সদস্য র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য সংবাদ ব্রিফিং ডাকা হয় এলিট ফোর্সটির পক্ষ থেকে। সেখানে গ্রেফতারদের সম্পর্কে নানা তথ্য জানানোর পাশাপাশি বিএনপির সমাবেশ নিয়েও কথা বলেন কমান্ডার মঈন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দলের প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে সারাদেশে বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে নয়টি বিভাগীয় শহরে দলটির সমাবেশ শেষ হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্যে দিয়ে বিএনপির কর্মসূচি শেষ হবে।

অন্যান্য সমাবেশগুলোগুলো নির্বিঘ্নে শেষ করতে পারলেও ঢাকার সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কী হবে ১০ ডিসেম্বর তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছে দেশের মানুষও। এমন অবস্থার মধ্যে ১০ ডিসেম্বর নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে কথা বলেন র‌্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন।

র‌্যাবের নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে খন্দকার আল মঈন বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে সুষ্ঠু-স্বাভাবিক রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে। সরকারি ও বিরোধীদল তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছে। র‌্যাব সাধারণত জঙ্গি দমন, মাদক কারবারি, অস্ত্রধারী ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে আস্থা অর্জন করেছে।

র‌্যাবের এই কমান্ডার আরও আরও বলেন, রাজধানী ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্থাপনা রয়েছে। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বিদেশি স্থাপনা ও অ্যাম্বাসি রয়েছে। ঢাকা শহরের নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সবসময় সচেষ্ট রয়েছি। শুধুমাত্র এই জনসমাবেশ ঘিরে নয় আমরা সবসময় জননিরাপত্তা, দেশীয় ভাবমূর্তি রক্ষা, বিদেশিদের কাছে যেন দেশীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকে সচেষ্ট রয়েছি। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল ফোর্স, স্পেশাল ডগ স্কোয়াড, হেলিকপ্টার ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে।

বিএনপির জনসমাবেশ ঘিরে র‌্যাবের পক্ষ থেকে রুটিন পেট্রোল থাকবে, চেকপোস্ট থাকবে, সাইবার ওয়ার্ল্ডে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। যাতে কোনো ধরনের উসকানিমূলক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নাশকতার চেষ্টা না হয়, সেজন্য র‌্যাবের সদস্যরা সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবে।

ঢাকার জজ আদালতের সামনে থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায় এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের এই পরিচালক।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার মঈন বলেন, আদালত প্রাঙ্গন থেকে যারা পালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনতে আমরা করছি। তবে জঙ্গিদের বিভিন্ন সময়ের কার্যক্রম, তাদের সিসিটিভি ফুটেজসহ অনেক আলামত ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আদালত প্রাঙ্গন থেকে যে জঙ্গিরা পালিয়ে গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে অবশ্যই আমরা এর দায় এড়াতে পারি না।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত