বিদ্যালয়টির এডহক কমিটি দিয়ে চালিয়ে নির্বাচন বিমুখ রাখা হয়েছে

সিরাজদিখান রাজদিয়া বালিকা বিদ্যালয়ে ভোটার তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ

  সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৯ নভেম্বর ২০২২, ১৮:৫৪ |  আপডেট  : ২৭ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৩

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রাজদিয়া আব্দুল জাব্বার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকায় নানা অনিয়মের অভিযোগ অভিভাবকদের। অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের রাজদিয়া আব্দুল জাব্বার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম মাসউদুর রহমানের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, ততোধিকবার বিদ্যালয়টি এডহক কমিটি দিয়ে চালিয়ে নির্বাচন বিমুখ রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়টির অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়। কিন্তু ভোটার তালিকার খসড়া অনুমোদনের জন্য শ্রেনী শিক্ষকদের না জানিয়ে চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এমন কি ভোটার তালিকা প্রকাশ্যে নোটিশ বোর্ডে সাটানোর নিয়ম থাকলেও সেখানে না সাটিয়ে সাটানো হয়েছে বিদ্যালয়ের চিলেকোঠায় যা লোকচক্ষুর অন্তরালে। চেয়ারে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। শিক্ষকরা জানান, এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অন্য প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করে বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পারলেও তারা ভোটার হওয়ার নিয়ম বা সুযোগ নেই।

কিন্তু বিদ্যালয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ছিলেন ২৪ জন কিন্তু অক্টোবরে ভোটার তালিকায় দেখানো হয়েছে ৩৫ জন, অষ্টম শ্রেনীতে সেপ্টেম্বর মাসে ছিলেন ২৯ জন কিন্তু অক্টোবর মাসে হয়েছে ৬৪ জন, সপ্তম শ্রেণীতে সেপ্টেম্বর মাসে ছিলেন ৩২ জন অক্টোবর মাসে হয়েছে ৩৪ জন ও ষষ্ঠ শ্রেনীতে সেপ্টেম্বর মাসে ছিলো ৩২ জন অক্টোবর মাসে ভোটার তালিকায় দেখানো হয়েছে ৩৪ জনকে। ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর অতিরিক্ত ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়নি। শুধু ভোটার হওয়ার জন্য বছর শেষে নাম উত্তোলন করেছে। এছাড়াও বিবাহিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ভোটার হওয়ার নিয়ম না থাকলেও অষ্টম শ্রেনীর খাদিজা নামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ভোটার হয়েছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়ে রয়েছে নানা অভিযোগ। কারিগরি শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক একাধিক দিন ছুটিতে থাকলেও কতদিন তার ছুটি হাজিরা খাতায় তার কোন হিসেব নেই।

এবিষয়ে রাজদিয়া আব্দুল জাব্বার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম মাসউদুর রহমান বলেন, আমি এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পূর্বে অন্য বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী  এই বিদ্যালয়ে   এসে রেজিস্ট্রেশন করে যেভাবে অভিভাবকরা ভোটার হয়েছেন এবারও সেই ভাবে ভোটার তৈরী করা হয়েছে। তারা যেহেতু আমাদের বিদ্যালয়ের নামে রেজিষ্ট্রেশন করেন তাই তাদের অভিভাবকদের ভোটার করা হয়েছে।   শিক্ষা বোর্ডের যদি নিয়ম না থাকে তবে তাদেরকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী আব্দুল ওয়াহেদ মোহাম্মদ সালেহ বলেন, কোন বিবাহিত ছাত্রীর অভিভাবক ভোটার হতে পারবে না। কোন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী তাদের নামে পরিক্ষা দিতে পারলেও ভোটার হতে পারবে না। যদি এরকম কোন অভিযোগ থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শরীফুল আলম তানভীর বলেন, আমরা রাজদিয়া আব্দুল জাব্বার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম মাসউদুর রহমা কে বলেছি শিক্ষা বোর্ড হতে নিদের্শশনা চাওয়ার জন্য । বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক  কারা ভোটার হতে পারবে আর কারা ভোটার হতে পারবে না সেই মোতাবেক ভোটার লিস্ট হবে। 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত