সিরাজদিখান যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ

  সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২১, ১৬:০৩ |  আপডেট  : ১২ মে ২০২৪, ১৫:২২

 মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান যৌতুকের দাবিতে তানজিলা বেগম নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী বিরুদ্ধে।  এ ব্যাপারে গত ৩১ জুলাই স্বামী হৃদয় কাজীসহ চারজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ভুক্তভোগী  পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মধ্যপাড়া  ইউনিয়নের  উত্তর মধ্যপাড়া গ্রামের  আবুল বাশার কাজীর ছেলে হৃদয় কাজীর সাথে ১৯ অক্টোবর ২০১২ সালে একই উপজেলার দক্ষিন তাজপুর গ্রামের মৃত আবু তাহের ঢালীর ছোট মেয়ে তানজিলা বেগমের বেগমের বিয়ে হয়। ওই দম্পতির মোঃ আব্দুল রহিম তোহা (৮) একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পরে পরিবার নগদ টাকা এবং জিনিসপত্রসহ প্রায় এক লাখ টাকার যৌতুক দেন। 

পরর্বতীতে মেয়ের সুখের কথা বিবেচনা করে জামাইয়ের দাবির প্রেক্ষিতে  গৃহবধূর বাবা আরও  তিন লাখ টাকা মূল্যের একটি টিনের ঘড় যৌতুক দেয়া হয়। এর পর আরও দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলেন ওই গৃহবধূর স্বামী। কিন্তু তানজিলা বেগম তাতে অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর স্বামীর নির্যাতন বেড়ে যায়। টানা চারদিন ধরে মারধরের শিকার হয়ে গত ৩১ জুলাই ভুক্তভোগী তানজিলা  বেগম বাদী হয়ে স্বামী হৃদয় কাজী (৩৩), শ্বশুর আবুল বাশার কাজী(৬০), শাশুড়ি কোহিনূর বেগম (৫৫),শিখা আক্তার (৩৮)কে আসামি করে থানায়  লিখিত অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগীর মা মাকসুদা বেগম জানান, দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আমার মেয়ের জামাই হৃদয় কাজী,শাশুরী কোহিনূর বেগম  চারদিন ধরে বেদম মারধর করে আসছে। বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন তারা। 

তানজিলা বেগম জানান, বিয়ের এক বছর ভালোভাবে সংসার কাটালেও গত ৫ বছর ধরে আমার স্বামী, হৃদয় কাজী শাশুরি কোহিনূর বেগম ও ননদ শিখা আক্তারের প্ররোচনায় দু’লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করে আমাকে বসতঘরের দরজা বন্ধ করে রশি দিয়ে বেঁধে নারীকেল গাছের ডালা দিয়ে বেপরোয়া মারধর করে। একপর্যায়ে আমার সন্তানকে রেখে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।

 খবর পেয়ে আমার মা ও বড় ভাই আবু ইউসুফ ঢালী সুমন সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিৎিসা করিয়ে দক্ষিন তাজপুর আমার বাবার বাড়ি আমাকে নিয়ে আসে। আমার পুরো শরীরে আঘাতের রক্তাক্ত চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে বহুবার মীমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। 

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে অভিযুক্ত হৃদয় কাজী যৌতুকের দাবি অস্বীকার করলেও স্ত্রীকে মারধর করার কথা স্বীকার করেন। 

সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বোরহান উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত