সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস সীমাহীন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত 

  সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি  

প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর ২০২১, ১৮:৫৩ |  আপডেট  : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৬

মুন্সিগঞ্জ সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস সীমাহীন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত । সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সীমাহীন দুর্নীতিতে কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের  ডিজিএম,এজিএমকম,  পাওয়ার ইউজ কো-অর্ডিনেটর, ওয়্যারিং(ইন্সপেক্টর) পরিদর্শক,মিটার রিডার,পিসিএম সহ অনেক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার যোগসাজশে এসব অনিয়মের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ হচ্ছে বলে জানা যায়। শত শত গ্রাহকের অভিযোগ, অফিসে দেনদরবার ও ছুটাছুটি করে অনেকে আর্থিক হয়রানির শিকার হচ্ছে। 

কেউ প্রতিবাদ করলে অথবা তাদের নিয়মের বাইরে গেলে সংযোগ তো দুরের কথা নানা অজুহাতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস কতৃপক্ষ আয়কৃত লাখ লাখ টাকা উপার্জন করে মাঠ পর্যায় থেকে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস ডিজিএম পর্যন্ত পৌচানোর করণে,সবকিছুই চলছে নীরবে নিভৃতে। নাম না প্রকাশে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের কয়েক জন ইলেকট্রিশিয়ান জানান, অফিস থেকে আবেদনের মাধ্যমে মিটার নেওয়ার টাকার পরিমান তালিকা তৈরী করে ঝুলিয়ে রাখলেও সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুল হাসানকে ৩০০শ টাকা,ওয়্যারিং পরিদর্শক মোঃ শাকিল পারভেজ চৌধুরীকে ২০০শ টাকা ও পাওয়ার ইউজ কো- অর্ডিনেটর মোঃ খালেদকে ৭০ টাকা মোট ৫৭০টাকা না দিলে কোন নতুন মিটার পরিদর্শনে স্বাক্ষর করেন না ওয়্যারিং পরিদর্শক শাকিল পারভেজ এবং ফাইল এ্যাপ্রোভ করেন না ডিজিএম । এই ঘটনা প্রতিটি ইলেকট্রিশিয়ানের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। এই ৫৭০ টাকা না নিলে গ্রাহকেরা আরোও কম টাকায় মিটার পেতে পারতো বলে জানান তারা। 

মধ্যপাড়া ইউনিয়নের মালপদিয়া গ্রামের গ্রাহক আব্দুল করিম বলেন,  শুনেছি গত সোমবার রাতে আমার বাড়িরর পাশের রাস্তায় তিনটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই থ্রি-ফেস লাইনে ও খুটিতে উঠে তিনটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা আশ্চর্য বিষয়। এই ঘটনার এলাকায়  চা ল্যকর সৃস্টি হয়েছে। চুরি হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের  ডিজিএম ও কতৃপক্ষ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় টাকা দেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন। মনে হয় ঘটনাটি পরিকল্পিত। চুরি হলেই জরিমানার জন্য টাকা দিতে হবে গ্রাহকদের। 

এ ব্যাপারে সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের  ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুর হাসান ও ওয়্যারিং পরিদর্শক শাকিল পারভেজ চৌধুরীর নাম্বারে ফোন দিলে তারা ফোনে কথা বলতে চাননি।  সিরাজদিখান পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিস  ডিজিএম খন্দকার মাহমুদুর হাসান ও কতৃপক্ষের  সীমাহীন দুর্নীতি বন্ধের ব্যাপারে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদন মন্ত্রি নসরুল হামিদ বিপু মহোদয়ের হস্থক্ষেপ কামনা করছেন সিরাজদিখানবাসী।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত