সিরাজদিখান নিরিহ পরিবারকে ঘর তুলতে বাধার অভিযোগ

  সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:১৩ |  আপডেট  : ৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৯

সিরাজদিখান উপজেলার উত্তর মধ্যপাড়া এলাকায় প্রভাবশালী একটি গোষ্ঠীর দাপটে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিতে ঘর তুলতে পারছে না একটি নিরিহ পরিবার। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার বিকালে  উত্তর মধ্যপাড়া গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল মান্নান শেখ,হাফেজ মোঃ আব্দুল রব, আঃ হান্নান শেখ,মধ্যপাড়া ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ড সাবে সদস্য জাহাঙ্গির তালুকদার,আব্দুল রশিদ শেক,মোসা মোল্লা তারা জানান, মধ্যপাড়া মৌজার ৫৫৭ নং খতিয়ানের দশটি দাগের একটি দাগের এক একর ১ শতক জমির প্রকৃত মালিক আব্দুল মজিদ চৌকিদার,মোঃ হাবিবুর রহমান ও আবুল হাসেম মোল্লা। ১৯৬৯ সালে জমিটি তাদের বাবা তাদের নামে কেনেন এবং ভোগদখল করতে থাকেন। মোঃ হাবিবুর রহমান ও আবুল হাসেম মোল্লা গরীব অসহায় থাকায় এ সুযোগে জমি দখল করে নেয় সেই সময়ের প্রভাবশালী আব্দুল মজিদ চৌকিদারসহ অন্যরা। মোঃ হাবিবুর রহমান ও আবুল হাসেম মোল্লার মৃত্যুর পর তাদের সন্তানরা পৈতৃক সূত্রে জমির মালিক হলেও দীর্ঘদিন থেকে এ জমি দখল করে অবৈধভাবে ভোগ করছেন স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল রহিম শেখ ও মনির শেখ গং। ২০০৪ইং সালে এ জমির স্বত্ব দাবি করে আদালতে একটি মামলা করেন ।  মামলাটি মিথ্যা হওয়ায় ০৩.০৮.২০০৬ সালের মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু তারপরও জমি ছেড়ে দিচ্ছেন না আব্দুল রহিম গং। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বাররা সালিশও করেন। পরে থানায় বিচার প্রার্থনা করে আবেদনও করা হয়। কিন্তু কাউকে তোয়াক্কা করছে না ওই মহল। মোঃ মোসা মোল্লা জানান, আমরা দিন আনি দিন খাই। মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই। ছোট বাড়িতে আছি। নিজের জমি থাকতেও আমরা ঘড়তোলতে পারছি না। আমরা কয়েকটি পরিবার খুব কষ্টে আছি। দখলকারীরা আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। জমিতে যেতে দেয় না। আদালত রায় দিয়েছেন। রায়ের কপি হাতে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। এ ব্যাপারে মোঃ মনির শেখ জানান, রেকর্ড সূত্রে মালিকদের কাছ থেকে আমরা ওই জমি কিনেছি। আমাদের কাছে কাগজ আছে। স্বত্ব মামলা হয়েছে কি না আমরা জানি না। আদালতের আমাদের পক্ষেও রায় আছে।

 ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল করিম জানান, আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত আবেদন পেলে আমরা সালিশের উদ্যোগ নিতে পারি। সিরাজদিখান থানার ওসি মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম সুমন জানান, জায়গা-জমির বিষয়গুলো আদালত বোঝেন। আদালতের নির্দেশনা পেলে আইনগত উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত