সিরাজদিখানে সরকারি জায়গা দখল করে শশ্মনের রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:২২ | আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:৩৭

সিরাজদিখান কেয়াইন কালা রায়ের চর সরকারি জায়গা দখল করে শশ্মনের পাকা পিলার ও রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। যে জায়গায় পাকা পিলার নির্মাণ করা হয়েছে, তা হালট (রাস্তা) দাবি করে নিজেদের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দিয়েছেন কালা রায়ের চরের গ্রামবাসী। অন্যদিকে রাস্তা অপসারনের দাবি, ওই জমির রেকর্ড নিজেদের নামে রয়েছে। এদিকে স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়ার পরও নির্দেশনা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ মোসাঃ সুমা আক্তারের।
উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কালা রায়েরর চর গ্রামের সুভাষ মন্ডল, টুংটু মন্ডল,পরিতোষ রায়,শান্তিসহ ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে ওই শশ্মনের রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ করেছেন কালা রায়ের চর গ্রামের মৃত আক্তারের স্ত্রী সুমা আক্তার,লাল মিয়ার ছেলে শেখ কামালসহ ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, উপজেলার শিকারপুর মৌজার ২৫৮৬ নম্বর খতিয়ানের ৩৬৪২ বিএস দাগে .০৮২৫ শতাংশ বাড়ি শ্রেণিভুক্ত জমির ওপর শশ্মন নির্মাণ করছেন সুভাষ গং। এলাকার শতাধিক পরিবারের লোকজন হালটটি দিয়ে চলাচল করেন। কিন্তু শশ্মনের রাস্তা নির্মাণ করায় চলাচল বিঘ্নসহ কৃষিপণ্য পরিবহন করতে পারছেন না বলে জানান তাঁরা।
স্থানীয় শেখ কামাল বলেন, রাস্তা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিদর্শন করেছেন, পরিমাপ করেছেন সহকারী কমিশনার-ভূমি অফিসের লোজন। তারপরও অবৈধ দখলকারীরা আমগাছ,ঝিগা গাছ কেটে শশ্মনের রাস্তা নির্মাণ করেই যাচ্ছেন।
রাস্তার পাশের জমির মালিক সুমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী নেই। আমার দুই মেয়ে এক ছেলে। আমার ১২ শতাংশ বাড়ি রয়েছে। আমার ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় আমাকে কোনো নোটিশ না দিয়ে এমনকি না জানিয়ে আমার বাড়ি দিয়ে রাস্তা ও সরকারি রাস্তায় পাকা পিলার দিয়ে জমির মধ্যে ঢুকিয়ে পাকা শশ্মনের রাস্তা নির্মান করছে জোর করে। দখলকারীর প্রভাবশালী হওয়ায় সহকারী কমিশনার-ভূমিকে ম্যানেজ করে শশ্মনের রাস্তা পিলার দিয়ে করেছেন। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
অন্যদিকে অভিযুক্ত সুভাষ মন্ডল বলেন, শশ্মানের রাস্তা নির্মানে বাধা দেওয়ায় রাস্তা নির্মান কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রশাসন যেভাবে বলবে সেভাবেই কাজ করা হবে। রাস্তা নির্মাান করতে না দিলে আমরা রাস্তা নির্মান করবে না বলে জানান তাঁরা।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান সহকারী কমিশনার-(ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম বারি বলেন, সরকারি জমি যতটুকু দখল হয়েছে, তা দখলমুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান বলে জানান তিনি।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত