সিরাজদিখানে প্রতি বছরই বিলীন হচ্ছে রাস্তা বাড়িঘরসহ নানা স্থাপনা

  সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২১, ১৬:২৫ |  আপডেট  : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০:১৮

গত কয়েকদিন ধরে মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ফুরশাইল  গ্রামে দীঘির ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে অন্তত ৮০টি বাড়িঘর। ভাঙনরোধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে ভাঙন আরও বড় আকার ধারণ করার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।  গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমি গিয়ে দেখা যায়, সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ফুরশাইল গ্রামের মধ্যে বয়ে চলেছে দুইশত বছরের ফুরশাইল পুরোনো দীঘি। এর চার পাশ্বে নিয়ন্ত্রন বাধ না থাকায় প্রতি বছরই চলে আসছে দীঘির ভাঙ্গন বড় হচ্ছে দীঘি। এতে প্রতি বছরই দীঘির ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে বাড়িঘরসহ নানা  কাচা পাকা স্থাপনা। এ বছরও বর্ষার শুরুতেই এ দীঘির  পার ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে প্রতিদিনই বিলীন হয়ে যাচ্ছে একরের পর এক বাড়ির রাস্তার পার। এরই মধ্যে দশটি বাড়ির রাস্তা ভেঙে পড়ছে দীঘিগর্ভে। ইতিমধ্যে ওই গ্রামের কানাই মন্ডল বাড়ির রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায তার বাড়িরর ভেতর দিয়ে রাস্তা করে দিয়েছেন। রাস্তাসহ  গ্রামের অনেকেই তাদের বাড়ি-ঘর সরিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। দীঘির ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে ফুরশাইল গ্রামের ৫০টি বাড়ি দীঘি  গর্ভে চলে যাবে। এ মূহুর্তে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে হাজী মোঃ আলম খান,কানাই মন্ডল, মন্নু মিয়া, আরতি মন্ডল, জনি ঘোষ,দোলন রানী মন্ডলের পাকা বাড়ি বিলীন হয়ে যাবে বলে আশংকা করছেন গ্রামবাসীরা।

এতে ৮০ বাড়ির  শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ  হবে। এমনিতেই করোনার কারণে লকডাউনে এলাকার মানুষজন দুর্ভোগে রয়েছে। আর মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই দীঘিভাঙন। তাই  বাড়িঘড় ভাঙনরোধে দ্রুত সরকারিভাবে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে জানালেন জনপ্রতিনিধিসহ সকলেই। কানাই মন্ডল বলেন, ছয় বছর হয় আমি নয়া বাড়ী করছি। কত কষ্ট কইরা বাড়ি করছি এহন বাড়ীডাও ভাইঙ্গা যাচ্ছে। সম্ভুনাথ ঘোষের ছেলে জনি ঘোষ  জানান, গ্রামের প্রথমেই আমার বাড়ি, দীঘির ভাংগনের কারনে খুবই আতংঙ্কের মধ্যে রয়েছি।  সরকার দীঘির পার বাধার ব্যবস্থা করে দিলে গ্রাম বাসীর ঘড়বাড়ি রক্ষা এবং রাস্তার কাজও হয়ে যাবে।

সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন , ফুরশাইল দীঘির ভাংঙ্গনে প্রায় ৩০টি বাড়ির পেছেনের রাস্তাা দীঘি গর্ভে চলে গেছে। এখন অসহায় এলাকাবাসীকে সরকারীভাবে ব্যবস্থা না করলে, ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানো যাবে না। আমি সরকারের কাছে দাবী জানাই, এখানে ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, আমি  মালখানগর ফুরশাইল দীঘির ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছি একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন দীঘি এটা। দ্রুতই ব্যবস্থা  গ্রহনের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। একই সাথে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করে এখানে কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেছি। আমি নিজেও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত