সারাদেশে নানান আয়োজনে ৫২ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত

  জেলা প্রতিনিধিগণ

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮:০৫ |  আপডেট  : ৩ মে ২০২৪, ০৯:২৩

পঞ্চগড়

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতেই পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের গ্রুপিং চরম আকার ধারণ করেছে। বুধবার (১০ জানুয়ারী) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৫২ তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসটি দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের একাংশ ও পঞ্চগড় ১ আসনের নব নির্বাচিত সাংসদ নাইমুজ্জামান ভূঁইয়ার অনুসারীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে জাতির পিতা সহ তার পরিবারের নিহত সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামণা করে দেয়া করা হয়।

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুল, সহসভাপতি মনিরা পারভীন, আবু তোয়বুর রহমান, পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া খাতুন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আল তারিক, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসমএম হুমায়ূন কবীর উজ্জ্বল সহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দলীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুল বলেন, দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে আমি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের মাইকিং করেছিলাম। কারণ স¤্রাটের মাইকিংয়ে অনেকে না আসতেও পারে। এছাড়া দলীয় কর্মসূচী ও ফুল দেয়াতে তো আর কোন বাধাঁ নেই। তার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সিদ্ধান্ত হবে। কেননা তাকে তো আর বাদ দেয়া হয়নি।

এদিকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত স¤্রাট দলীয় কার্যালয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে ফুলের মালা দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপরে জেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।

এসময় জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজিয়া পারভীন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রবিউল ইসলাম চানু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সপিয়ার রহমান, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নুরুন্নাহার নুরী, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত স¤্রাট বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম সুজন ও আবু সারোয়ার বকুলকে মুঠোফোনে জানিয়ে দিয়েছেন যে যেহেতু নির্বাচন শেষ সেহেতু পূর্বের মত স¤্রাট সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করবেন। এরপরে বকুল সাহেব মঙ্গলবার রাতে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের জন্য নিজেকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দাবী করে মাইকিং করেন। আমি সাধারণ সম্পাদক থাকার পরেও গত বছরের ২০ ডিসেম্বর বকুল সাহেবকে দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থীভাবে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি এটি কখনোই করতে পারেন না।  এখন একটি পক্ষ দলের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টির জন্য এসব করছে। তবে আমিই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বকুল সাহেব নয়।

উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারী) রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৫২ তম ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সাদাত সম্রাট এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক আবু সারোয়ার বকুলের পক্ষ থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে মাইকিং করতে দেখা গেছে।

মো. কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড়

বগুড়া

বগুড়ার নন্দীগ্রামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি শোভাযাত্রা নন্দীগ্রাম শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রানার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুকুল মিঞার সঞ্চনালয় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন চন্দ্র মহন্ত, সরফুল হক উজ্জ্বল, শামীম শেখ, গোলাম মোস্তফা, আনন্দ কুমার, ফিরাজুর রহমান, ফিরোজ কামাল ফারুক, আব্দুর রাজ্জাক, শাহিরুল ইসলাম, সানোয়ার হোসেন মিলন, সুজন প্রামাণিক, তীর্থ সলিল রুদ্র, রেজাউল করিম, রাকিবুল হাসান, মখলেছুর রহমান, কালিপদ রায়, জুলফিকার আলী, মোজাম্মেল হক, নিকুঞ্জু চন্দ্র, তারেক হোসেন, মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দুলাল চন্দ্র মহন্ত, উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ রায়হান মানিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু সাঈদ, সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান সবুজ, উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি এনামুল হক, সাধারণ সম্পাদক আরাফাত রহমান, ছাত্রলীগ নেতা আল-নোমান নাদিম, আল-জাহিদ ও আবু রায়হান প্রমূখ।

নাজমুল হুদা, বগুড়া।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত