সংশোধিত নতুন আইনে চীনে কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদানকারীকেও পেতে হবে সাজা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৫ |  আপডেট  : ১৪ মে ২০২৪, ১৪:৫৩

 দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে শি জিনপিং প্রশাসন। দেশটির জনগণকে নিজ নিজ সততা কঠোরভাবে বজায় রাখার আহ্বান জানানোর কয়েকদিন পরেই কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার বিষয়ে নতুন আইন সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধনী অনুযায়ী কর্মকর্তাদের ঘুষ প্রদানকারীরাও আইনের আওতায় আসবেন।

শুক্রবার চীনে ফৌজদারি আইনের নতুন সংশোধনী প্রকাশ করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই। ফৌজদারি আইনের সংশোধনীটি চীনের সর্বোচ্চ আইনসভা ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) স্থায়ী কমিটি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।

সংশোধনীটি ২০২৪ সালে ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। আইনটি ঘুষ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও জোরালো করেছে। বলা হয়েছে, একাধিক ব্যক্তি কিংবা বড় কোনো জাতীয় প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত দলগুলোকে যারা বারবার ঘুষ দিচ্ছে তাদের কঠোর শাস্তির আনা হবে।

আইনে বলা হয়েছে, যারা তত্ত্বাবধায়ক, প্রশাসনিক কিংবা বিচার বিভাগের কর্মীদের অথবা পরিবেশ, অর্থ, নিরাপত্তা প্রোডাকশন, ওষুধ ও খাবার, সামাজিক বীমা, উদ্ধার ত্রাণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি খাতে কোনো কর্মীকে ঘুষ প্রদান করে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আসতে হবে।

ডিসেম্বরের ৪ তারিখে প্রেসিডেন্ট শি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত সততা কঠোরভাবে মেনে চলতে সতর্ক করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি তাদের আত্মীয়দের দুর্নীতি থেকে দূরে রাখতে এবং বিদেশি উদাহরণ ও বেপরোয়া পদক্ষেপ অন্ধভাবে অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করেছিলেন।

চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির পলিব্যুরোর একটি বৈঠকে বলেছিলেন, দুর্নীতি বিরোধী প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে শীর্ষ কর্মকর্তাদের  অবশ্যই তাদের পরিবার, আত্মীয় ও তাদের আশপাশের সকল কর্মীদের জন্য কঠোর নিয়ম তৈরি করতে হবে।

২০১২ সালে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়তই দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালিয়ে আসছেন শি। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম অনুসারে, শির এই অভিযানে বেশ কয়েকজন শীর্ষ মিলিটারি জেনারেলসহ লাখ লাখ কর্মকর্তা শাস্তি পেয়েছেন।

দুর্নীতি বিরোধী এই অভিযানের তীব্রতা সমালোচনাকেও আকৃষ্ট করেছে। সমালোচকরা বলছেন,  এই অভিযানটিকে শি তার সমালোচক ও বিরোধীদের নীরবে দমন করতে কাজে লাগিয়েছেন।

এদিকে এনপিসির স্থায়ী কমিটি ঘোষণা করেছে, সংসদের বার্ষিক অধিবেশন আগামী বছরের ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। স্থায়ী কমিটি অল্প সংখ্যক বিধায়কের মধ্যে সীমাবদ্ধ।

চীনের জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদ চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্স (সিপিপিসিসি) এর সঙ্গে এনপিসি মিলিত হয়ে প্রতি বছর ১৫ দিন ধরে তাদের বার্ষিক অধিবেশনের আইন প্রণয়নের কাজ পরিচালনা করে।

অধিবেশন চলাকালীন এনপিসি দেশটির প্রিমিয়ার লি কিয়াংয়ের কাজের প্রতিবেদন ছাড়াও প্রতিরক্ষা ব্যয়সহ দেশের জন্য বার্ষিক বাজেট পাস করবে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত