শ্রীনগরে শ্মশানে হামলা ও স্মারকলিপি প্রদান 

  সংবাদ বিজ্ঞপ্তি 

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২২, ২০:০৬ |  আপডেট  : ১২ মে ২০২৪, ১৪:৫২

শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া ইউনিয়নের শ্রী শ্রী সার্বজনীন মহাশ্মশানে গতকাল শনিবার  কতিপয় নামধারী সংগঠনের লোকজন সকালে মহাশ্মশানে হামলা চালিয়ে মহাশ্মশানের নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের মারধর করে । ঐদিন কে বা কাহারা রাতের আঁধারে শ্মশানের দেয়াল, শ্মশানের সাইনবোর্ড ও অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে । এ ব্যাপারে শ্রীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বাগড়া ইউনিয়নের শ্রী শ্রী সার্বজনীন মহাশ্মশান ঘাট নির্মাণে বাধা ও হামলার প্রতিবাদে (২৮ আগস্ট) আজ রবিবার সকাল ১০টায় শ্রীনগর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে শ্রীনগর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য  পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ ও যুব ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ এর প্রস্ততি গ্রহন করলে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী আন্দোলনরত নেতৃবৃন্দের আশ্বাস প্রদান করেন যে তিনি আশুব্যাবস্থা গ্রহণ করে দোষকৃতি কারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পরে শ্রীনগর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ ও যুব ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে NSI, DGFI ও উপজেলা পরিষদের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক সভায় মিলিত হন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের বরাবরে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি পেশ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঘড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল নাসের তানজিল,  বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি বলরাম বাহাদুর, শ্রীনগর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি স্বপন কুমার রায়, শ্রীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধির দত্ত, শ্রীনগর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি রনজিৎ কুমার মল্লিক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সংকর দাস, পংকজ দেবনাথ, শ্রীনগর উপজেলা যুব ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি দীপক পাল,  দীলিপ দাস প্রমুখ।

স্মারকলিতে উল্লেখ্ করেন যে, শ্রীনগর উপজেলাধীন বাঘড়া ইউনিয়নে হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের প্রানের দাবির প্রেক্ষিতে এডিসি ( রাজস্ব ) মহোদয় বিগত ০৭ ই নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখে শ্রী শ্রী সার্বজনীন মহাশ্মশান , বাঘড়া নির্মানের জন্য পদ্মা নদীর পাড় ( বাজারের পূর্ব পাশে ) অর্পিত সম্পত্তির ৩৩ শতাংশ লিজ প্রদান করেন এবং তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি কর্মকর্তা ( সহকারী কমিশনার ) সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক উক্ত জায়গা নির্ধারণ ও হস্তান্তর করেছিলেন । তারপর থেকে শ্মশানের সার্বিক উন্নয়নের কাজ চলমান । শ্মশান নির্মানের জন্য বরাদ্দকৃত স্থান ধর্মীয় অনুভূতি কিংবা পরিবেশগত দিক হতে শতভাগ নিরাপদ । যা অন্য ধর্মাবলম্বীদের সমস্যার সৃষ্টি করবে না । কিন্তু বর্তমানে কতিপয় নামধারী সংগঠনের পক্ষ হতে কিছু ব্যক্তি ধর্মীয় ইস্যু তৈরি করে হিন্দু-মুসলিম বিভেদের লক্ষ্যে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন উল্কানি মূলক তথ্য প্রচার করছে । 
যা হীনমন্যতার পরিচায়ক এবং অসম্প্রদায়িক চেতনাকে বিনষ্ট করছে।

বক্তব্যরা বলেন, বাঘড়ায় একটি প্রায় শত বছরের পুরনো শ্মশান ছিল। বেশ কয়েক বছর আগে সেই জমিতে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। তাই এলাকা  হিন্দু সম্প্রদায়ের যৌক্তিক দাবি গুলো কার্যকর ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ব্যবস্থ গ্রহণ করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের পর প্রশাসনকে অনুরোধ করেন । বর্তমানে অত্র এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ  করছে ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত