শ্রীনগরে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণে ব্যবহার হয়েছে বাঁশ
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২২, ১৯:২০ | আপডেট : ৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৫
শ্রীনগরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মানে বাঁশ ও নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। উপাজেলার আটপাড়া ইউনিয় পরিষদের পশ্চিম পাশে এই সেতুটি নির্মান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সেতুটির প্রায় অর্ধেক কাজ শেষ করা হয়েছে।
শ্রীনগর উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায় সেতুটি ২০২১-২২অর্থ বছরে সেতুটির প্রাক্কালিত ব্যায় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা। এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করছে মেসার্স এস সরকার এন্টার প্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জ-শ্রীনগর সড়ক সংলগ্ন আটপাড়া এলাকায় সেতুটি নির্মাণের কাজ চলছে। সেতুর এক পাশের নীচের গার্ডার সহ পিলার ঢালাই করা হয়েছে। কাজটির অনেক স্থানেই বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। বাঁশ যেন দেখা না যায় সেজন্য অনেক স্থানে সিমেন্ট বালু দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। সেতুটির অন্য পাশের এপ্রোচ ঢালাইলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এলাকাবাসি জানায়, সেতুটি নির্মাণের শুরুতে যখন পাইলিং এর কাজ করছিল তখন থেকেই একেবারে নিন্ম মানের কাজ করা হচ্ছে। তারা সেতু নির্মাণে বাঁশ ব্যবহার করছে। এখানে যারা কাজ করছে আমরা তাদের একাধিকরার বলেছি কিন্তু তারা কারো কথা শোনে না। এই কাজের ঠিকাদার সিরাজদিখান উপজেলার মাহবুবুর রহমান রন্টুর মালিকানাধীন এস সরকার এন্টারপ্রাইজ। আর কাজটি তদারকি করছেন রন্টুর পার্টনার আফাজ ভূইয়া। স্থানীয়রা বলেন, আফাজ ভূইয়ার বাড়ি কুচিয়ামোরা এলাকায় হওয়ায় তিনি খুব প্রভাব দেখান।
এর আগে নিন্ম মানের ময়লা ধুলাবালি ও সিমেন্টর বস্তার টুকরো ময়লা মেশানো পাথর, সিলেকশন বালুর সাথে সাদা বালু মিশিয়ে চলেছে ঢালাইয়ের কাজ।
সেখানে তদারকিতে থাকা উপজেলা কার্য-সহকারী মিজান বলেন, আমি তো ঢালাইয়ে মালের হিসাব রাখছি রাস্তার উপর থেকে তারা কি মাল আনছে সেটা দেখি নাই। মালের কাছে জেলা সহকারী ইঞ্জিনিয়ার আছে সে বলতে পাড়বে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা উপ সহকারী প্রকৌশলী আসিফ উদ্দিন বলেন, নিম্ন মানের পাথরের বিষয়ে বলেন আসলে সকাল থেকে কারেন্ট ছিলনা তাই পাথরে পানি মারা হয়নি। সে জন্য কিছু ধুলা রয়ে গেছে। সিলেকশন বালু দেখাতে গিয়ে বলেন আগের কাজের কিছু সাদা বালু ছিল সেটা রয়েগেছে । তবে আমরা ভাল সাদা বালু ব্যবহার করছি না।
ঠিকাদারের পক্ষে তদারককারী আফাজ ভূইয়া বলেন, এটি আমার কাজ না। কাজটি এস সরকার এন্টারপ্রাইজের। তার সাথে কথা বলেন।
শ্রীনগর উপজেলা প্রকৌশলী রাজিউল্লাহ বলেন, ঢালাইয়ের সময় দতারককারী কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বাঁশের ব্যবহার হয়ে থাকলে তা ভাঙ্গা হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত