প্রথম ব্যাচে গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন ১৫ জন পেইন্টার

শেষ হল দেশের প্রথম জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) স্বীকৃত পিটিআই প্রোগ্রাম বার্জারের আয়োজনে

  প্রেস রিলিজ

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৩:০৮ |  আপডেট  : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ২১:১৮

পেইন্টারদের দক্ষতাকে আন্তর্জাতিক শ্রম-বাজারের উপযোগী করে গড়ে তুলতে এ প্রশিক্ষণের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল: মাসব্যাপী ক্লাস এবং লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষা ও মূল্যায়ন। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পেইন্টাররা যেমন সরাসরি প্রশিক্ষণ ও সনদ লাভ করেছেন, তেমনি এ প্রশিক্ষণ তাদের কর্মসংস্থান প্রাপ্তির সুযোগকেও সম্প্রসারিত করবে। পিটিআই এনএসডিএ স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান। উল্লেখ্য, পেইন্টস খাতে বার্জারই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা এনএসডিএ’র সাথে একযোগে কাজ করছে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ২০ জন অংশগ্রহণ করেন, যার মধ্যে ১৫ জন সার্টিফায়েড পেইন্টার হিসেবে প্রশিক্ষণটি শেষ করতে সক্ষম হন। প্রথম ব্যাচের পেইন্টার হিসেবে তারা বার্জারের পিটিআই থেকে সরকারি কর্তৃপক্ষের লেভেল ২ সার্টিফিকেট অর্জন করেন। পিটিআই থেকে এখন পর্যন্ত ৬ হাজারেরও বেশি পেইন্টার প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছেন।  

এনএসডিএ’র এই প্রশিক্ষণ ও সার্টফিকেট প্রদানের মূল লক্ষ্য হচ্ছে: শ্রমিকদের দক্ষতা  এবং কাজের মান বৃদ্ধি,  নির্ভুল কাজ নিশ্চিত করা, পণ্য সম্পর্কিত জ্ঞান বৃদ্ধি করা, যোগাযোগ দক্ষতার উন্নতি ঘটানো এবং কাজের ক্ষেত্রে যেনো নীতিমালা ও কমপ্লায়েন্স মেনে চলা হয় তা নিশ্চিত করা। এসব দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে পেইন্টাররা দেশ ও দেশের বাইরের শ্রম-বাজারের চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের প্রস্তুত করতে সক্ষম হবেন।

পেইন্ট ও ডেকোরেশন খাতে নলেজ হাব হিসেবে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এ খাতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পেইন্টারদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বার্জার। পাশাপাশি, পেশাগত দায় ও মূল্যবোধের জায়গা থেকে পিটিআই ও এনএসডিএ’র সার্টিফিকেটের সাথে আরও কিছু বিষয় যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। যার মধ্যে রয়েছে: ফার্নিচার খাতের জন্য লেকার পলিশিং, কার পেইন্টিং, হাই-বিল্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোটিং, মেরিন কোটিং ও পাউডার কোটিং।

পেইন্টারদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বার্জারের এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যা তাদের জীবনের মানোন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। সরকারি সংস্থার সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পেইন্ট খাতে দক্ষ কর্মী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বার্জারই প্রথম প্রতিষ্ঠান যারা প্রশিক্ষণের এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ প্রশিক্ষণ গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করা পেইন্টার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনের মানোন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। এ প্রোগ্রামের প্রথম ব্যাচে সনদ লাভ করেন ১৫ জন পেইন্টার, বার্জারের লক্ষ্য এ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার মাধ্যমে গ্র্যাজুয়েট পেইন্টারদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বাস করে, এ উদ্যোগের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যপূরণে এ খাতসংশ্লিষ্ট অন্যান্যরাও দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলতে এগিয়ে আসবে।

এ বিষয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড–এর প্রধান বিপণন কর্মকর্তা তানজিন আলম বলেন, “পেইন্টস খাতে বার্জারই প্রথম প্রতিষ্ঠান, যারা এ ধরণের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সফল করতে এগিয়ে এসেছে। পেইন্টারদের আরও দক্ষ করতে আমরা এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, যাতে তারা নিজেদের দক্ষতার মানোন্নয়ন ঘটানোর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করেন। আমাদের বিশ্বাস, এই উদ্যোগ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যপূরণে একযোগে কাজ করতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।”   

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত