শুরু হচ্ছে ১৬তম আর্ন্তজাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব-২০২৩
প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৪:২৬ | আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭:০৮
‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানে প্রতি বছরের মতো এবারও চিলড্রেন’স্ ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে ১৬তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ-২০২৩। শিশু-কিশোরদের এই প্রাণের উৎসব আগামী ৭ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।
উৎসবটির বিস্তারিত তথ্য জানাতে ৪ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডির আলিয়ঁস্ ফ্রঁসেজে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, চিলড্রেন’স্ ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ মুন্নী, উপদেষ্টা ইয়াসমিন হক, উৎসব কর্মকর্তা ম্ঈুদ হাসান তড়িৎ ও আলিয়ঁস্ ফ্রঁসেজের পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোঁজ। উৎসবের সব তথ্য লিখিত বক্তব্যে সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন উৎসব পরিচালক শাহরিয়ার আল মামুন।
এবারও উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগটি। এ বিভাগে এবার ১৭টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, যার মধ্যে নির্বাচিত ৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে, ৩টি চলচ্চিত্র পুরস্কার পাবে।
বিশেষ চলচ্চিত্র বিভাগে ৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, যার মধ্যে নির্বাচিত ২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। তরুণ বাংলাদেশি নির্মাতা বিভাগে ৩৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল যার মধ্যে প্রদর্শিত হবে ১৫টি চলচ্চিত্র, পুরস্কার পাবে ২টি চলচ্চিত্র। আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে ২৭০০-এর বেশি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল, প্রদর্শিত হবে ৭৫টি চলচ্চিত্র।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উদ্বোধনী দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, ও সন্ধ্যা ৬টায়, মোট ৩টি প্রদর্শনী হবে। এবারের উৎসবে ঢাকায় ২টি ভেন্যু, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন ও আলিয়ঁস ফ্রসেঁসে ৩৯টি দেশের ১০১টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হবে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উৎসবের সব প্রদর্শনী অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সিনেমা দেখার জন্য কোনো ধরনের প্রবেশমূল্য নেই।
শিশু নির্মাতাদের চলচ্চিত্র বিচারকাজে জুরি বোর্ডের সবাই শিশু-কিশোর। অর্থাৎ ছোটদের নির্মিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলো বাছাই করবে ছোটরাই। তরুণ বাংলাদেশি নির্মাতা বিভাগের চলচ্চিত্রগুলো বিচার করার জন্য জুরি বোর্ডে রয়েছেন উদীয়মান চলচ্চিত্র নির্মাতাগণ।
এছাড়া চলচ্চিত্র নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, শামীম আকতার ও রাকা নওশিন নাওয়ারকে সদস্য করে ‘আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগ’র চলচ্চিত্র বিচার করার জন্য একটি জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
উৎসবে যাদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের জন্য মনোনীত হয়েছে তাদেরকে উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
উৎসবে আমন্ত্রিত প্রতিনিধিদের জন্য বিভিন্ন কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে, এবার মোট ২টি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। কর্মশালা নেবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা রায়হান রাফি।
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার, বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে। উৎসবের উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুর কবীর খোন্দকার এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন চিলড্রেন’স্ ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
অনুষ্ঠান শেষে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আম কাঠাঁলের ছুটি’ (বাংলাদেশ) উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত