শীতে কাবু পঞ্চগড়ের মানুষ বেড়েছে শীতজনিত রোগ

  পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:১৯ |  আপডেট  : ১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১১

কনকনে শীতের দাপটে জনজীবন অতিষ্ট। কোনমতেই কমছে না শীতের দাপট। সূর্যের দেখা মিললেও কমছেনা তীব্র শীত।  এমন শীতে যুবরা কাহিল হয়ে পড়েছে।

সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষক দপ্তর শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।তবে শুক্ররবার (১৯জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ১০, ৯ ও ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করলেও হারকাঁপানো শীতের তীব্রতা কমছেনা
প্রচন্ড শীতের কারণে অসহায় ছিন্নমূল ও শ্রমজীবীরা শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে। পাশপাশি আয় কমেছে শ্রমজীবীদের। জীবীকার তাগিদে বাধ্য হয়ে  অনেকে কাজে বের হচ্ছে। তবে শহর-বন্দরে কমেছে মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরা। শির শির বাতাস শীতকে আরো তীব্রতর করে তুলেছে।দুই তিনদিন ধরে সামান্য কুয়াশা কমলেও বাতাসে হাত পা শিতল হয়ে উঠছে।চলতি মৌসুমে গম  রোপন সহ কৃষির নানা কাজে গিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।  

এদিকে বৃহষ্পতি ও শুক্ররবার  ও শনিবার সূর্যের দেখা পেলেও উত্তাপ ছড়াতে পারেনি রোদ্র। এমন শীতে অধিকাংশ এলাকায় মানুষ খড়ঁকুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। তীব্র শীতের কারণে গরম কাপড়ের দোকানেও বেচাকেনা বেড়েছে ।এমন শীতে কৃষকরা তাদের শীতের সবজি তোলা কমিয়েছে। সরবরাহ কিছুটা কমেছে।অব্যাহত শীতের কারণে বেড়েছে শীত জনিত নানা রোগ। পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাপসপাতালে শিশু ডায়রিয়ায় ভর্তি হচ্ছে শিশুরা।  

সিনিয়র কনসালটেন্ট  (শিশু) ডা. মো. মনোয়ারুল ইসলাম জানান, শিশুদের কোন ভাবেই ঠান্ডা লাগানো যাবে না। বাসি খাবার খেতে দেওয়া যাবে না। গরম খাবার খেতে দিতে হবে।তিনি বলেন‘ প্রতিদিন আউট ডোরে প্রায় দুইশত ডায়রিয়া রোগির চিকিৎসা করতে হয়। ইনডোরে তো রোগি আছেই প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন।

জেলা প্রশাসক মো.জহুরুল ইসলাম জানান ‘ সরকারি ভাবে ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ২৮ হাজার কম্বল পাওয়া গেছে এবং তা বিতরণ করা হয়েছে। আরো পাঁচ হাজারের বরাদ্দের চিঠি পেয়েছি। বেসরকারি ভাবে বিতরকৃত শীত বস্ত্র বিতরন করা হচ্ছে সমন্বয় করে।

 

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত