শীতের দাপটে পঞ্চগড়ের জনজীবন স্থবির

  মোঃ কামরুল ইসলাম কামু

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:৪৫ |  আপডেট  : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:২০

 শীতের দাপটে জড়োসরো হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়ের মানুষ। ঘনকুয়াশা ও মেঘে ঢাকা আকাশ সাথে শৈত্য প্রবাহে বৃহষ্পতিবার( ২৫ জানুয়ারি) ভোর থেকেই শরীরে শীতের কাপুনিতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে।

এদিকে বৃহষ্পতিবার তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস সকাল নয়টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ। রেকর্ড পরিমান শীতে কদিন ধরে ফুটপাতে বসা পুরাতন কাপড়ের দোকানে শীতের কাপড় নিতে ভীড় দেখা গেছে। মাঘ ও পৌষের হাড়কাঁপানো শীতে বেড়েছে এসব ভাসমান কাপড়ের দোকান।

বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তিন দিন ধরে আকাশে আলোর ঝলকানি দেখা গেলেও শীতের দাপট তেমন একটা কমেনি। গত সোমবার সূর্যের দেখা মিললে কিছুটা স্বস্তি ফিরে। কিন্তু বৃহষ্পতিবার শীতের দাপটে মানুষজন জড়োসরো হয়ে পড়ে। এরপর দুপুর ১টার দিকে সূর্যের দেখা মেলে। তবে বাতাসের কারণে উত্তাপ ছড়াতে পারেনি রোদ্র।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় এ পর্যন্ত সরকারি ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাওয়া ৩৩ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতূল্য। জেলায় অব্যাহত ভাবে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্য প্রবাহ আর কনকনে শীতে ছিন্নমূল ও শ্রমজীবীরা রয়েছে কষ্টে। আর্থিক অনটনের কারণে গরম কাপড় কিনতে না পেরে কষ্টে দিনযাপন করছে। সদর উপজেলার গড়িনাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনোয়ার হোসেন দীপু বলেন‘ আমার এলাকায় গরীব মানুষ বেশি । চাহিদা প্রায় ৫ হাজারের উপরে। পেয়েছি মাত্র ২০০ কম্বল। না হলে ও এক হাজার দেওয়া প্রয়োজন। প্রতিদিন এলাকার বৃদ্ধরা আসছে কম্বলের জন্য ‘কেউ কেউ মোবাইলে চাইছে কম্বল।

এমন শীতের দাপটে বাসা-বাড়ি সড়কের আশপাশে চলছে আগুন জ্বালানো। পথচারি ও স্থানীয় লোকজনরা খঁড়কুটোয় জ্বালানো আগুনে শীত নিবারণের চেষ্টায় বেশ ব্যস্ত। তরুণ ও যুবকরাও সেখানে ভীড় করছে। সদর উপজেলার রিকসা চালক মহির উদ্দীন( ৫০) জানান, শীতে দেহটা (শরীর) কাঁপছে। বাতাস তো সহ্য করা যায়না শীত।
এদিকে পঞ্চগড় শহরের পাশে করতোয়া নদীতে প্রতিদিনের ন্যায় কষ্ট হলেও পাথর তুলতে দেখা গেছে। দেখা গেছে এলাকায় নদ-নদীতে বালু তুলতে শ্রমিকদের।

তেতুঁলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষক অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন‘ জানুয়ারি পুরোটাই এই পরিস্থিতি থাকবে। কারন জানুয়ারি মাসটাই শীত মৌসুম।

 

সান

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত