শিক্ষার্থীদের পোশাক পরে উস্কানি দিয়েছেন একটি দলের নেত্রী: কাদের
প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪:১৮ | আপডেট : ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১:১২
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজনৈতিক দলের উস্কানি রয়েছে বলে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একটি রাজনৈতিক দল থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের উস্কানি দেওয়া হয়েছে। সেটার প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে, ভিডিও ফুটেজ আছে। একটি রাজনৈতিক দলের মহানগরের এক নেত্রী স্কুলের পোশাক পড়ে রামপুরা এলাকার রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উস্কানি দিচ্ছে। এসব কাজ বাহির থেকে হচ্ছে। রাজনৈতিক উস্কানিও এখানে আছে। রাজনৈতিকভাবেও শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তারপরেও এই আন্দোলনটা রামপুরা এলাকায় সীমাবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানের অনেকে আন্দোলন স্থগিত করেছেন। ।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিআরটিএ কর্তৃক আয়োজিত সচেতনতামুলক কর্মসূচি থেকে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রামপুরায় অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন নিহতের ১০-১২ মিনিটের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ কোথা থেকে এলো, সঙ্গে সঙ্গে কারা ফেসবুকে পোস্ট দিল এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, নিরাপদ সড়কের আন্দোলন যে কারণে হচ্ছে, সেই কারণগুলো অযৌক্তিক না, আমি স্বীকার করি। ছাত্র-ছাত্রীরা যখন আন্দোলন থামিয়ে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করছে ঠিক তখনই রাজনৈতিক উস্কানি দিয়ে তাদের মাঠে নামানো হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, করোনা মহামারীর কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার অনেক ক্ষতি হয়েছে। অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হয়ে গেছে। তারা ক্যাম্পাসে ফিরে যাক। পড়াশোনায় মনোনিবেশ করুক। ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট এটাই আমাদের পরামর্শ।
উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আইনের বিষয়টাতো আর আমার হাতে নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতে এক ঘণ্টায় ১৭ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় এটা আমরা দেখেছি খবরে। সড়ক দুর্ঘটনা কোথাও কম হচ্ছে বিষয়টি এমন নয়। ছোট গাড়ির কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। ইদানিং মোটরসাইকেলেও অ্যাকসিডেন্ট হচ্ছে। এসব এক্সিডেন্টে মৃত্যুর হার বেশি। আমার মনে হয় অ্যাক্সিডেন্টের সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। কিন্তু এক্সিডেন্টে মৃত্যুর হার বেড়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে সবার সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন।
এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বিআরটিএর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত