শরণখোলা উপজেলার পল্লী থেকে অন্তঃসত্বা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

  বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:৪৭ |  আপডেট  : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:১৯

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার পল্লী থেকে কুলসুম আক্তার সাথী (১৯) নামে তিন মাসের অন্তঃসত্বা এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে ওই গৃহবধূর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে এদিন সকালে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর গ্রাম থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত কুলসুম আক্তার সাথী ওই গ্রামের সাইকেল মেকানিক আরিফ ফরাজির স্ত্রী ছিলো।

সাথীর ফুফাতো ভাই আব্দুর রহিম জানান, এক বছর আগে উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের পান্না ফরাজির ছেলে আরিফের সঙ্গে বিয়ে হয় কুলসুমের। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই শাশুড়ি ও ননদের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছিলো না। গত ৫/৬ মাস আগে স্বামী-শাশুড়ি ও ননদ মিলে কুলসুমকে পিটিয়ে আহত করে। ওই সময় তাকে শরণখোলা হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।

এভাবে বিভিন্ন সময় নির্যাতন চালানো হয় তার ওপর। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আরিফ ফোন করে জানায় কুলসুম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা ওই বাড়িতে গিয়ে কুলসুমের মরদেহ নিচে পড়ে থাকতে দেখেন। তার গলার দুই পাশে দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে গলা টিপে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। কুলসুম আক্তার তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো।

এ বিষয়ে কুলসুমের স্বামী আরিফ ফরাজী বলেন, শনিবার রাত ১১টার দিকে বাজার থেকে বাড়িতে ফিরে বাথরুমে যাই। এরপর ঘরে ঢুকে কুলসুমকে ঘরের দক্ষিণ পাশের বারান্দায় চালের আড়ার সঙ্গে ঝুলতে দেখি। তাকে কোনো প্রকার নির্যাতন করা হয়নি।

শরণখোলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুব্রত কুমার জানান, সকালে স্বামীর বাড়ি থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত