লৌহজংয়ে অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা: গ্রেফতার ১০  

  লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা 

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২১, ২০:২৯ |  আপডেট  : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২:১৯

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে জুলহাস হাওলাদার (৩৫) নামে এক অটোরিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দশজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে উপজেলার কুমারভোগ ইউনিয়নের পদ্মা সেতুর রেলওয়ের ৩ ও ৪ নম্বর পিলারের মাঝে এ ঘটনা ঘটে।
          
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ১৫/১৮ জনের একটি দল জুলহাসকে রড চুরির অভিযোগ এনে হাত-পা বেঁধে রড ও প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। পরে নিরাপত্তা কর্মীদের শিফট ইনচার্জ মো. সেলিম আহত জুলহাসের বাসায় খবর দিলে স্বজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। তারা জুহাসকে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে দেখেন। জুলহাসকে তখন চন্দ্রেরবাড়ি বাজারে একটি হাসপাতালে, সেখান থেকে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় লৌহজং থানায় একটি মামলা হয়েছে।
          
ঘটনার পরে অভিযান চালিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ৭ জন ও পরে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সেলিম, রাব্বি, তপু, আল-আমিন, আরিফ, আব্দুল মান্নান, ইসরাফিল, রুবেল, মঞর শাহ আলম ও সুশান্ত। এরা সকলেই পদ্মা সেতুর নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কর্মরত। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সে সাথে পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান চলমান রেখেছে। এ সকল তথ্য দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত  করেছেন জেলার অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল)  মো. আসাদুজ্জামান ও লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন।
 
নিহত জুলহাস হাওলাদার উপজেলার কুমারভোগ পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দা মৃত হাসান হাওলাদারের ছেলে। জুলহাস হাওলাদারের স্ত্রী, ৫ বছরের একটি ছেলে ও ৩ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
         
এদিকে, এ ঘটনায় লৌহজংয়ে কুমারভোগ পুর্নবাসন কেন্দ্রসহ মাওয়ায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বলছেন, পদ্মা সেতুর চারপাশে সেনাবাহিনী থাকার পরেও এরকম ঘটনা  ঘটল- এটা দুঃখজনক। এলাকাবাসীর দাবিÑ আসামিদের আইনগত শাস্তি প্রদান করা হোক।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত