লৌহজংয়ের কুমারভোগে নাসির খানের বাড়ীতে নাইট কুইন ফুটলো
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২১, ২৩:১৯ | আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:১৯
নাইট কুইন নাম শুনে সহজেই অনুমান করা যায় রাতের আঁধার আলো করে ফোটে ফুলটি। সৌন্দর্য-সৌরভ-প্রস্ফুটন সব মিলে ফুলটিকে দিয়েছে রানীর আসন। নামকরণও সার্থক। এছাড়া নাইট কুইনকে বলা হয় সৌভাগ্যের প্রতীক। মনে করা হয় যে বাড়িতে ফুলটি ফোটে তার বাড়িতে সৌভাগ্য বয়ে আনে। সন্ধ্যা থেকেই ফুল ফোটা শুরু হয়। এক সময় সবগুলো পাপড়ি ছড়িয়ে অপার সৌন্দর্যে বিলিয়ে দেয় চারদিকে। ক্যাকটাস জাতীয় এ উদ্ভিদের আদি নিবাস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চল ও মেক্সিকো। ফুলপ্রেমীদের হাত ধরে আমাদের দেশে বিস্তার লাভ করেছে। বর্তমানে বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে নাইটকুইন চোখে পড়ে। এর ইংরেজি নাম : Dutchmans pipe ও Queen of The Night. উদ্ভিদ তাত্ত্বিক নাম : Epiphyllum oxypetalum.
নাইট কুইন বর্ষার ফুল। অন্যান্য যে কোনো ফুল থেকে আলাদা। চারা গাছ থেকে ফুল ফুটতে সময় নেয় পাঁচ থেকে সাত বছর। এর চারা তৈরি হয় পাথরকুচি গাছের মতো পাতা থেকে। নরম মাটিতে পাতা রেখে দিলে ধীরে ধীরে চারা গজায়। এরপর চারা বড় গাছে পরিণত হয়। গাছের পাতার রং সবুজ ও বেশ পুরু। উচ্চতা গড়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফুল ফোটার আগে গাছে প্রথমে গুটি গুটি কলি ধরে। এরপর কলি বড় হয়ে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ফুল ফোটার উপযুক্ত হয়ে ওঠে। যে রাতে ফুল ফুটবে সেদিন বিকেল থেকেই কলিগুলো অদ্ভুত সাজে সাজতে থাকে। তখনই বোঝা যায় নাইট কুইনের ফোটার সময় হয়েছে। এক সময় কাক্সিক্ষত ফুলটি ফোটে। সৌরভ ছড়ায়। সবই রাতের আঁধারে।
লম্বা বোঁটায় নমনীয় কোমল পাপড়ির সমন্বয়ে সৃষ্ট নাইট কুইন। মাঝে পরাগ অবস্থিত। ফুলের রং প্রধানত সাদা। তবে সাদা রঙের ফুলে মাঝে ঘিয়ে রঙের মিশ্রণ ও সুমিষ্ট গন্ধ থাকে। রাত শেষ হওয়ার আগেই ঝরে যায়। অর্থাৎ ভোরের আলো ফোটার আগেই জীবনাবসান। তাই তো ফুলটিকে দুর্লভ ফুল বলে আখ্যা দেন অনেকে।
নাইট কুইন সরাসরি মাটি ও টবে রোপণ করা যায়। উঁচু ভূমি পানি নিকাশের সুবিধাযুক্ত রৌদ্রোজ্জ্বল স্থানে নাইট কুইন ভালো জন্মে।
দীর্ঘ ২ বছর সাধনার পর লৌহজংয়ের কুমারভোগে নাসির খানের বাড়ীতে সেই নাইট কুইন ফোটার পরে পরিবার এলাকাবাসী আনন্দে আত্মহারা।
নাসির খান জানান তার এক বন্ধু আজিম তাকে এই গাছটি উপহার দেয় সেই বন্ধুর প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত