রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি স্থগিত
প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৩, ২০:০৪ | আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১
রোববার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত আগামী ১০ কার্যদিবস স্থগিত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। এতে ট্রেন চলাচল বন্ধের যে আশঙ্কা ছিল, সেটি কেটে গেল।
রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় রোববার মধ্যরাত থেকে টানা কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
মো. মজিবুর রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে আমাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। আগামী ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঙ্গে সমিতির নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। তাই উচ্চ পর্যায়ের আশ্বাসে আমরা আগামী ১০ কার্যদিবস আমাদের কর্মবিরতি স্থগিত করেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে আমরা এ ১০ কার্যদিবস কর্মবিরতি স্থগিত করেছি। এরপর আমরা একদিনও আর সময় বাড়াবো না। দাবি পূরণ না হলে আমাদের ঘোষণা অনুযায়ী রেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্সের বাড়তি অর্থ এবং সেই অনুযায়ী পেনশন প্রদানের দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি।
ব্রিটিশ রেল আইন অনুযায়ী চলন্ত ট্রেনে দায়িত্ব পালন করা কর্মীদের মূল বেতনের সঙ্গে অতিরিক্ত কাজের জন্য বাড়তি অর্থ প্রদান করা হয়। এটি মাইলেজ প্রথা নামে পরিচিত। আর মূল বেতন অনুযায়ী প্রাপ্য পেনশন থেকে ৭৫ শতাংশ বেশি অর্থ দেওয়া হয়। রানিং স্টাফরা এভাবেই বেতন ও পেনশন পেয়ে আসছিলেন ।
কিন্তু ২০২১ সালে রানিং স্টাফদের মাইলেজ সুবিধা সীমিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেখানে পেনশনে পাওয়া অতিরিক্ত ৭৫ শতাংশ অর্থও বাতিল করা হয়। এতেই রানিং স্টাফরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
পূর্বের সুযোগ-সুবিধা বহালের জন্য তারা দুই বছর ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। কিন্তু এর কোনো সুরাহা না হওয়ায় রোববার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংগঠন।
উল্লেখ্য, রানিং স্টাফদের মধ্যে রয়েছেন ট্রেনচালক, সহকারী চালক, টিটিই ও ট্রেন চালক।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত