রেলওয়ে থানায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:২০ | আপডেট : ১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৪৫
শুক্রবার সকালে জয়পুরহাট জেলার জয়পুরহাট রেলওয়ে ষ্টেশনে এবং একই জেলার পাঁচবিবি ষ্টেশনে আন্তঃনগর দ্রুতযান এ·প্রেস ও উত্তরা মেইল ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিন নাশকতাকারীর সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রির্পোটার শফিক ছোটনকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ সময় লুঙ্গি ও গেঙ্গি পড়া নুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ কনষ্টেবল পরিচয় দিয়ে সাংবাদিক শফিক ছোটনকে অকথ্য ভাষায় গালিগাজায় করে তার হাত থেকে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ জানালে সান্তাহার রেলওয়ে থানায় ওসি মোক্তার হোসেন বলেন, অনাকাক্সিখত ঘটনার জন্য আমি দু:খিত। এ ঘটনায় রেলওয়ে পাকশী সার্কেল ফিরোজ আহম্মেদ কে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই পুলিশ কনষ্টেবল নুরুল ইসলামকে পাকশী পুলিশ লাইনে প্রত্যহার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের তদন্ত সাপেক্ষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা জিআরপি থানার সামনে মৌন প্রতিবাদ কর্মসুচি পালন করে। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা বলেন, দেশে বর্তমান একটি নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সারাদেশে নাশকতামুলক নানা অপতৎরতা অব্যহত রয়েছে। এ সব অপতৎরতা প্রতিরোধে সাংবাদিক, পুলিশ এক হয়ে কাজ করছে ঠিক সেই মুহুর্তে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারা তথ্য প্রদানে নানা তালবাহান সৃষ্টি করার অর্থ কি? তাহলে কি আমরা ধরে নিবো রেলওয়ে নাশকতা পিছনে রেলওয়ে পুলিশের হাত রয়েছে।
এ ব্যাপারে লাঞ্ছিত হওয়া সাংবাদিক শফিক ছোটন বলেন, সকালে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়ার পর ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করতে রেলওয়ে থানায় যায়। সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ কনষ্টবল ফেরদৌস আটককৃতদের বিষয়ে আমাকে তথ্য প্রদান করে। পরে থানা ফটকের ছবি নেওয়ার সময় লুঙ্গি ও গেঙ্গি পড়া কনষ্টবল নুরুল ইসলাম এসে আমাকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তার আরও দুই সহকর্মী সহ তারা আমাকে অকর্থভাষায় গালিগালাজ করে এবং মুঠোফোন কেড়ে নেয়। এ ঘটনায় সুষ্টু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের দাবী জানায়।
ই
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত