রুশপন্থী দোনেৎস্কে দুই ব্রিটিশ ও এক মরক্কো সেনার মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ: ১০ জুন ২০২২, ১০:৫৪ | আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১২
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ গড়িয়েছে চতুর্থ মাসে। এবার খবর পাওয়া গেলো, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্কের একটি আদালত দুই ব্রিটিশ ও এক মরক্কোর নাগরিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। যুদ্ধ চলার সময় রাশিয়ার সেনা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন তারা। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ নভোস্তির খবরে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (৯ জুন) ইউক্রেনের রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল দোনেৎস্কের একটি আদালত এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত ওই তিন ব্যক্তি হলেন নটিংহামশায়ারের ২৮ বছর বয়সী এডেন অ্যাসলিন ও বেডফোর্ডশায়ারের ৪৮ বছর বয়সী শন পিনার এবং মরক্কোর সাউদিন ব্রাহিম।
রায় ঘোষণা করা দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের ওই আদালতের কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। আটক হওয়া তিনজনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের হয়ে ভাড়াটে সৈন্য হিসেবে কাজ করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে দুই ব্রিটিশ নাগরিকের পরিবারের দাবি, তারা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন।
এদিকে, যুক্তরাজ্য ও ইউক্রেন ঘটনাটির নিন্দা জানিয়েছে এবং যুদ্ধবন্দীদের সুরক্ষার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে।
রাশিয়ার তাস নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী বলেছেন যে তারা সবাই সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে চান।
অপরদিকে, যুক্তরাজ্য সরকার বলছে, এ রায় উদ্বেগজনক। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, এ আদালত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয় এবং এটি রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দ্বারা পরিচালিত।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। দেশ দুটির টানা তিন মাসের লড়াইয়ে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা। আধুনিক অস্ত্রের ঝনঝনানিতে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ গুরুত্বপূর্ণ সব অঞ্চল। জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ইউক্রেনের বহু নাগরিক।
কয়েক বার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলেও নিজ অবস্থানে অনড় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেন পশ্চিমাদের সহযোগিতায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। ইউক্রেন সেনাদের প্রতিরোধের মুখে কিয়েভ দখল করতে পারেনি রাশিয়া। তবে দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে হামলা জোরদার করে রুশ সেনারা।
সূত্র: বিবিসি
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত